জি২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিল বাংলাদেশ। ভারতের নিকট প্রতিবেশী দেশ। এই দেশের প্রতি ভারতের আবেগ একেবারেই অনন্য। আর শনিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। তিনি জানিয়েছেন ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে সাদরে গ্রহণ করেছে তা আমাদের দেশের কাছে সম্মানের। মোমেন জানিয়েছেন, গোটা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসাহ দিয়েছেন।সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত । তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত আমাদের সম্মানিত করেছে। আমরা ভারতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গ্লোবাল সাউথের নানা দিক সম্পর্কে তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছে ভারত ও আমাদের সম্মানিত করেছে ভারত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের কথা তুলে ধরেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, নারীদের ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমরাই নেতৃত্ব দিই। প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বের কাছে এটাই তুলে ধরেছেন। এদিকে শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এদেশে এসেছিলেন। সেদিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। তিনটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। একটি হল ডিজিটাল পেমেন্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে ভারতের ন্যাশানাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৫ সালের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে পারস্পরিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলের মধ্য়ে মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। দুপক্ষেপ মধ্য়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্পর্ককে বৃদ্ধি করা, জল সম্পদের ব্যবহার, সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতির ক্ষেত্রে দুই দেশ যাতে পরস্পরের মধ্য়ে সম্পর্ক রক্ষা করে সেব্যাপারেও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের জি২০র আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেখানে ব্রিটেন থেকে আমেরিকা, জাপান থেকে বাংলাদেশ তাদেরকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছে ভারত। আতিথেয়তার ক্ষেত্রে ভারত কোনও ভাবে ত্রুটি রাখেনি।