শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলা শুরু হয়েছিল। এই আবহে গত ৯ অগস্ট থেকে লাগাতার বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও অশান্তি থামেনি। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানালেন, সামনেই জন্মাষ্টমীর সময় যাতে কোনও হিন্দু মন্দির বা বাড়িতে হামালা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানালেন, দুর্গাপুজোয় তিন দিনের সরকারি ছুটির সুপারিশ করা হবে। (আরও পড়ুন: হাসিনা ভারতে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚথাকলে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে চিড় ধরবে না, জানালেন ইউনুসের মন্ত্রী)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে হাসিন✅ার পতনে কোনও হাত নেই', নিজেদের 'ধোয়া তুলসি পাতা' বলে দাবি USA-র
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই জায়গায় জায়গায় মার খেয়েছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা। এই আবহে গত ৯ অগস্ট থেকে পালটা আন্দোলনে নামেন সেদেশের হিন্দুরা। স্লোগান ওঠে - 'কথায় কথায় ভারত যা! দেশটা কারও বাপের না'। উল্লেখ্য, হিন্দুরা ঐতিহাসিক ভাবে আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে এসেছে সেই দেশে। এই পরিস্থিতিতে যখনও দেশে কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা গিয়েছে, হামলা হয়েছে সেই হিন্দুদের ওপরেই। সঙ্গে কথায় কথায় হিন্দুদের বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বলা হয় সেখানে। তবে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে কয়েক দিনের মধ্যে সরকারি হিসেবেই অন্তত পক্ষে ১২ জন হি⛎ন্দুর মৃত্যু হয়েছে হিংসায়। আর নিজেদের ওপর এই হামলার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠেছেন হিন্দুরা। শুক্রবার থেকে লাগাতার ঢাার শাহবাগ চত্বরে জমায়েত করে রাস্তা স্তব্ধ করে দিচ্ছেন হিন্দুরা। এদিকে শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের সর্বত্রই আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দুরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার নোয়াখালির টাউনহল রাস্তা পুরো স্তব্ধ করে দুপুর ৩টে থেকে মিছিল সমাবেশ করেছিলেন হꦰিন্দুরা। এদিকে দিনাজপুরে মানববন্ধন তৈরি করেছিলেন প্রতিবাদী হিন্দুরা। খুলনাতেও বিশাল জনসমাবেশ হয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে। এদিকে রাত জেগে জেগে হিন্দুদের বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে ধারালো অস্ত্র হাতে। এই আবহে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংসদে ১০ শতাংশ আসনে হিন্দুদের সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন হিন্দুরা। এছাড়া আন্দোলনকারীদের আরও দಌাবি - ধর্মীয় কারণে কোনও হিন্দু হিংসার শিকার হলে দ্রুত তদন্ত বিচার করতে হবে। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের পরে হিন্দুদের যত ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হিন্দুদের মন্দিরের জন্যে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করতে হবে প্রতিবছর। ধর্মীয় কারণে হিন্দুরা যাতে সামাজিক কিংবা চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।