কলকাতায় বাংলাদেশের সাংসদ খুনে চাঞ্চল্য কর তথ্য সামনে এল। তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছিল দেহ। পরে তা একটি ট্রলি ব্যাগ করে আবাসনের বাইরে নিয়ে আসা হয়। পারিপার্শিক তথ্য প্রমাণ ও সি🧸সিটিভি ফুটেজের উপর ভিত্তি করে এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কমপক্ষে এক মাস আগে ঝিনাইদহ-৪ খুনের পরি༺কল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু হয়। এতে জড়িত অন্তত 🧸তিনজন ঘটনার ১৩ দিন আগে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন। তারও আগে যান দুজন। আনোয়ারুলকে হত্যার জন্যই নিউটাউনের ফ্ল্যাটটি ভাড়া করা হয়।
এখন আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান তাঁকে খুন করতে সুপারি কিলারকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্য দেওয়া হয় পাঁচ কোটি টাকা। যদিও পুলিশ এখনও বাংলাদেশের সাংসদের দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। ভারত-বাংলাদের যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্🦩✱ছে।
আবাসনে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যে খুন?
পুলিশ সূত্রে খবর, আনোয়ারুল গত ১৩ মে নিউটাউনের আবসনে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাঁকে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা🎶য় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। দেহে যাতে পচন না ধরে তার জন্য ফ্রিজে দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দেওয়া হয়েছিল। দু'দেশের তদন্তকারী আধিকারিকদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়ে এই তথ্য সমানে এসেছে। পুলিশের অনুমান আনোয়ারুলের দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে করে আবসনের বাইরে আনা হয়। তারপর কোথায় নিয়ে যায়ও হয় তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন। সাংসদকে পরিকল্পনা করে খুন দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ꦿট🥃্রমন্ত্রীর, ধৃত ৩
এর আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে সাংসদকে। তদন্ত ♏থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে🍃র বসেই এই খুনের পরিকল্পনা হয়।
তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে♔ করেছেন, খুনের পর দেহাংশ লোপাট📖ের জন্য স্থানীয় কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ। খুনের পর আবাসনের ফ্ল্যাটটি ধুয়ে দেওয়া হয় ভাল করে। তবে সুত্রের খবর, তা সত্ত্বেও ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে পুলিশ রক্তদাগ পেয়েছে।
তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ
পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, লাল রঙের একটি গাড়ি এস🅰ে নিউটাউনের ওই আবাসনে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে তিন জন নেমে আসে। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মৃত সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। পরে বেরনোর সময় দেখা যায় দুজনকে বেরোতে🦩। সাংসদ বেরোতে দেখা যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই গাড়িটিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। গাড়ির মালিক ও তার চাল🌃ককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
সোনা চোরাচালানের দ্বন্দ্বের জেরে খুন
তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনা চোরাচালানের আন্তর্দেশীয় চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে ভারতে এ🍸নে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন নামের এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন। এই ১০টি দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে দুর্বল, তালিকায় রয়েছে প🍌াকিস্তানের নাম🅷ও
সাংসদ আনোয়ারুল ভারতে গিয়ে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন, সেই গোপাল বিশ্বাসও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। সাংসদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানসহ অন্তত ২১টি মামলা ছিল। যদিও পরে সেসব মামলা 💮থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোল রেড নোটিশও জারি করেছিল। অবশ্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে সেটা তুলে ন🙈েওয়া হয়।