ꦯ ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এবার আরও বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল বাংলাদেশ পুলিশ। গত ১৯ জুলাই ঢাকার মহম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানদার আবু সইদ নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৬ জন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: '🦩মায়ের সাথে কথা হল...', হাসিনার 'বিবৃতি' ঘিরে রহস্য, নয়া দাবি পুত্র জয়ের
♉বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনা ছাড়াও এই খুনের মামলায় বাকি অভিযুক্তরা হলেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, প্রাক্তন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও প্রাক্তন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব মহম্মদ কুমার সরকার। এছাড়াও এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি আধিকারিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মহম্মদ মামুন মিঞা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। তারপরে আন্দোলন চলাকালীন একাধিক প্রাণহানির ঘটনায় শেখ হাসিনা ♒সহ প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে নতুন সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই হাসিনার বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু হল। ৫ অগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলা।
ꦫপ্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনা সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে এনিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন মহম্মদপুরের বাসিন্দা ও নিহতের পরিচিত আমির হামজা শাতিল। তারপরেই বিচারক হাকিম রাজেশ চৌধুরী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নথিপত্র যাচাই করে মহম্মদপুর থানার পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। শাতিল অভিযোগে জানিয়েছেন, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪ টের দিকে কোটা আন্দোলনের সময় পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতেই আবু সইদ নিহত হন। আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ নাগরিকদের ওপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ।অভিযোগকারী নিহতের ঘনিষ্ঠ না হলেও বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি এই মামলাটি করেন। তবে নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মামলা করার মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই।