দুর্গাপুজোয় হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবারও ☂দুর্গোৎসবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এমন ঘটনা ঘটতে না পারে তারজন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে ভার্জিনিয়ায় একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ♚ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তিনি দুর্গাপুজোয় নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ছু♛টꦅির দিনে পুজোর শপিংয়ের প্ল্যান? কলকাতার কোন মেট্রো কখন চলবে? দেখুন টাইমটেবিল
বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, শিতাংশুবিকাশ গুহ, রূপ কুমার ভৌমিক, ড. দিলীপ কুমার নাথ, শ্যামল চক্রবর্তী এবং শুভ রায়। সেখানে ৩০ ✤মিনিট ধরে সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের আমলে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়🉐ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।’
বৈঠক প্রসঙ্গে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত জানান, সংখ্যালঘুদের দুর্গাপুজোয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ইতিꦇবাচক বলে মনে হয়েছে। একই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ⛦বিএনপি জমানায় বহু সংখ্যালঘু অত্যাচারে দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর সরকারের আমলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ফলে অনেকেই ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকবেন না।
উল্লেখ্য দু'বছর আগে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। 𝓡মণ্ডপে মণ্ডপে হামলার পাশাপাশি প্রচুর প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও বহু মানু🌱ষকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরে গত বছর দুর্গাপুজোর নিরাপত্তায় মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ও মোতায়েন করা হয়েছিল সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। এই অবস্থায় আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয🐼়ার আশঙ্কা করছেন সংখ্যালঘুরা। সেই কারণে তাঁরা দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রীর 𒉰হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনার অন্যতম ভরসা হলে দেশে সংখ্যালঘুদের অর্থাৎ হিন্দুদের ভোট। সেই কারণে আরও নিরাপত্তা বাড়াতে তৎপর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।