নিত্যপণ্যের বাজার সামাল দিতে ভোজ্য তেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষ♔ণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান তিনি৷
‘জিনিসের দামꦆ যাতে সহনীয় থাকে, সেজন্য আজকে যেসব আইটেমের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি৷ সরকার থেকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে৷ ভোজ্য তেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে৷’ অর্থমন্ত্রী একথা বলেন বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এౠবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মকুব করা হয়েছে৷ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রকের থেকে জানান হয়৷ বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৮ টাকা৷ ঘোষিত হারে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে প্রতি লিটারে দাম ৩০ টাকার মতো কমতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন সয়াবিন তেল আমদানিকারক অন্যতম কোম্পানি সিটি গ্রুপের বিপণন বিভাগের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা৷
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বলে🅰ন, ‘নিজস্ব উৎপাদন কম হলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ আবার যে জিনিসগুলো আমদানি করি, যেগুলো আমাদের হাতের বাইরে, সেগুলো অনেক প্যারামিটারের কারণে দাম বেড়ে যায়, তখনও ক্রেতা ক্🧜ষতিগ্রস্ত হয়৷ এখন যুদ্ধ হচ্ছে সেটা একটা কারণ৷ এলসি প্রাইস, ট্রান্সপোর্ট কস্ট এগুলি বেড়ে যায়৷ যাঁরা আমদানি করেন, তাঁরাও সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, সে কারণে আরও বেশি বাড়ে দাম৷’
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভ্যাট-শুল🐬্ক প্রত্যাহার-সহ সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী৷ তিনি বলেন,‘এবার যে উদ্যোগটা নেওয়া হচ্ছে, সেটা হল টিসিবিকে শক্তিশালী করা৷ বাজারে সিন্ডিকেটের কাছে যদি কোনও মালামাল থেকে থাকে, দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তারা সেই সুযোগ পাবে না টিসিবির মাধ্যমে বাজারে সঠিকভাবে বিতরণ করা গেলে৷’
ব্য🗹বসায়ীদের দাবির মুখে বাণিজ্য মন্ত্রক ভোজ্য তেলের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে চিঠি দিয়েছিল এনবিআরকে৷ ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নিত্যপণ্যটির উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার নিয়ে ‘কাজ চলছে' বলে বুধবার জানিয়েছিলেন এন𒈔বিআরের একজন সদস্য৷
রোজা সামনে রেখে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে নিꦓয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্কে ১০ শতাংশ ছাড় অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসে গত ৬ ফেব্রুয়ারি৷ আমদানিকারকদের একজন জানান, ভোজ্যতেলে বর্তমানে তেল আমদানি পর্যায়ে🎃 ১৫ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং বিক্রয় পর্যায় ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে৷
চিনিতে সর্বমোট ৬৫ শতাংশ ভ্যাট বা শুল্ক রয়েছে৷ এর মধ্যে স্পেসিফিক ডিউটি প্রতি টনে তিন হাজার টাকা৷ রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ যা কয়েক🐎 মাস আগেও ৩০ শতাংশ ছিল৷ এআইটি বা অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্ ক্স রয়েছে ২ শতাংশ৷ আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে।ౠ হিন্দুস্তান টাইমস ব♉াংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)