দেশ ছেড়ে শেখ হ🉐াসিনা ভারতে চলে এসেছেন গত অগস্ট মাসে। তারপর বাংলাদেশে একাধিক রাজনৈতিক অধ্যায় দেখা গিয়েছে। মসনদে আসে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে আসেন নোবেলজয়ী মহম্ম ইউনুস। সদ্য সেই ইউনুস সরকার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সাফ জানিয়েছে, ভুয়ো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট এবার বাতিল করা হবে।
অভিযোগ, বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে যাননি, এমন অনেকের পরিবারই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তেমনভাবে পাওয়া ভ🐻ুয়ো সার্টিফিকেটগুলিকে এবার বাতিল করা হবে বাংলাদেশে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই মুক্তি যোদ্ধা সার্টিফিকেট কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশে? মূলত, বাংলাদেশে যাঁরা এই মুক্তি যোদ্ধা সার্টিফিকেট পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই শুধু নন, তাঁদের পরিবারের অনেকেই সেদেশে নানান সুবিধা-সুযোগ পেয়ে থাকেন। ইউনুস সরকারের দাবি, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের বহু নেতা কর্মীই এই ভুয়ো মুক্তিযুদ্ধ সার্টিফিকেট পেয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রক, প্রায় ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গ্যাজেট জারি করে শেখ হাসিনার শাসনকালে। অভিযোগ, অভিযোগ, শেখ হাসিনার আমলের কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদকেও এই ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, যাঁরা আদৌ মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
অভিযোগের তালিকা এখানেই শেষ নয়। ওই মন্ত্রী, নেতা, সাংসদদের চাপে মুক্তি যোদ্ধার গেজেটে তাঁদের নাম ঢুকে যায়। তাঁদের পরিবারের কেউ যুদ্ধ না করেও, জালিয়াতিꦓর মাধ্যমে ওই গেজেটে নাম তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ঘিরে, হাসিনা সরকারের আমলে যে মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট তৈরি হয়েছিল, তা সংস্কারের রাস্তায় হাঁটছে ইউনুস সরকার। যাঁরা ভুয়ো নথি দিয়ে ওই সার্টিফিকেট অবৈধভাবে নিয়েছেন এবার সেই নাম দেখে নিয়ে, তাঁদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। বাংলাদেশের বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার হবে। তিনি বলেন, সত্যিকারের মুক্তি যোদ্ধা ও তাঁদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সংস্কার প্রয়োজন।