সাইবার প্রতারণার নয়া পন্থা ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে এবার ‘মন কি বাত’ এর ১১৫ তম পর্বে মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টি নিয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে বার্তা দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, কী এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট? এর মাধ্যমে কীভাবে চলে প্🌳রতারণা?
'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই উপরাধ করছে, তারা 'সমাজের শত্রু'। তিনি সাফ জানান, আইনে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বলে কিছু নেই। মোদী জানান, এই ধরনের সাইবার ক্রাইম রুখতে ন্যাশনাಌল সাইবার কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। তিনি বলছেন,'সতর্ক হোন ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে… কোনও তদন্তকারী সংস্থা কোনও দিনের জন্য আপনাকে ফোন বা ভিডিয়ো কল করে জেরা করবে না। ডিজিটাল অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে প্রতারকরা নিজেদের পুলিশ, সিবিআ🐻ই, নারকোটিক্সের কেউ পরিচয় দিচ্ছে। এরকম সব লেবেল তারা নিজেদের ওপর সেঁটে নেয়। খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা ভুয়ো অফিসার সাজে। মন কি বাতের বহু শ্রোতা চেয়েছিলেন এটি নিয়ে আলোচনা হোক, আমি বলছি, এই প্রতারক গ্যাং কীভাবে কাজ করে।'
এরপর মোদী বলেন, যাঁকে এই প্রতারকরা শিকার বানাতে চায়, তাঁর সব খোঁজ খবর প্রতারকদের কাছে থাকে। যেমন, ‘আপনার মেয়ে কি দিল্লিতে পড়ে? আপনি কি গত মাসে গোয়ায় গিয়েছিলেন?’ এমন প্রশ্ন তারা করে। এরপর তারা ফোন বা ভিডিয়ো🌸 কল বা ডিজিটাল মাধ্যমে কোনও এ✨কটি হুমকি দেয় নিজেদের সরকারি এজেন্সির লোক দাবি করে। আর তারপর চাওয়া হয় টাকা। বলা হয়, সেই কথা না শুনলে গ্রফতার করা হবে।
মোদী বলেন, প্রথম ধাপে এরা তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ধাপে ‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে... ইউনিফর্ম, সরক🍎ারী অফিস সেট আপ, আইনি বিভাগ... তারা আপনাকে ফোনে এত ভয় দেখাবে... কথোপকথনের মাঝে, আপনি ভাবতেও পারবেন না। এবং তারপরে তাদের তৃতীয় পদক্ষেপ শুরু হয় - সময়ের চাপ।’ মোদী বলছেন, এরপর ফোনে বলা হয় ' আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নয়তো আপনাকে গ্রেফতার হতে হবে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন,' এরা শিকারের উপর এতটাই মানসিক চাপ তৈরি করে যে একজন ভয় পেয়ে যায়। প্রতিটি শ্রেণী ও বয়সের মানুষ ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হযতে পারেন। নিছক ভয়ে মানুষ তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছে। যখনই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, ভয় পাবেন না। আপনার সচেতন হওয়া উচিত যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা কখনও ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে এই ধরনের অনুসন্ধান বা জেরা করে না।'
প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা,' এমন ফোন কল পেয়ে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দিয়ে ফেলবেন না। দরকার হলে স্ক্রিনশট নিন, রেকর্ড করুন। যাতে নিশ্চিত থাকতে পারেন।' তিনি বলেন,' নিছক ভয়ে 𒉰মানুষ তাঁদের পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। যখ💛নই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, ভয় পাবেন না।' মোদী মনে করিয়ে দেন এমন ধরনের কল পেলে 1930 এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করা উচিত। কিম্বা রিপোর্ট করতে পারেন cybercrime.gov.in এখানে।