চিনের করোনাভ্যাক টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন পেতে ভারতের কাছে সাহায্য চাইল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে চিনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আয়োজনের খরচ বহন করতে বেজিং চাপ দেওয়ার পরেই আগ্রহ হারায় বাংলাদেশ। অন্য দিকে, গত ২১ জানুয়ারি ঢাকাকে ২০ লাখ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ উপহার পাঠায় ভারত। সেই সঙ্গে ওই ভ্যাক্সিনের ৩ কোটি ডোজ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করে দিল্লি। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতে তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিড টিকার তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা, বণ্টন, সহ-উৎপাদন ও বাংলাদেশে ভ্যাক্সিন সরবরাহের বিষয়ে যৌথ উদ্যোগে শামিল হয়েছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।চিনা কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রতি অনীহা এবং ভারতে তৈরি টিকার প্রতি আগ্রহ দেখা গিয়েছে শ্রী লঙ্কা ও নেপাল প্রশাসনের তরফেও। এ ছাড়া বার্বাডোজের মতো বিশ্বের বেশ কিছু ছোট দেশ থেকেও ভারতীয় ভ্যাক্সিনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাক্সিনের ২ লাখ ডোজ পাঠাতে গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বারবাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মটলি। তাঁর অনুরোধ মানা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক মহলের দাবি, গত অক্টোবর মাসে করোনাভ্যাক টিকা জোগান দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি সই করতে চেষ্টা করে চিন। চুক্তির অন্যতম শর্ত অনুযায়ী, টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খরচ বহন করতে হত ঢাকাকে। বাংলাদেশের তরফে আপত্তি জানানো হলে বেজিং সাফ জানিয়ে দেয় যে, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও ওই খরচ বহন করতে হবে। চিনের চাপের কাছে মাথা না ঝুঁকিয়ে তৎক্ষণাৎ ভারতে এসআইআই উৎপাদিত কোভিড টিকা মদানির সিদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ৩ কোটি কোভিশিল্ড ডোজ উপহার হিসেবে বাংলাদেশ পৌঁছে গিয়েছে।