এবারের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। বিশেষ করে সাওঁতাল পরগনার আসনগুলিতে আদিবাসী ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে বদ্ধপরিকর ছিল গেরুয়া শিবির। তবে আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন বিজেপিকে এই ইস্যুতে পালটা তোপ দাগলেন জামতাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী ইরফান আনসারি। (আরও পড়ুন: IT ক্ষেত্রে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শান ৩ 'অস্ত্রে', হতে পারে প্রচুর কর্মসংস্থ🔥ান)
আরও পড়ুন: পিএফ থেকে 'হাওয়া' খেটে খাওয়া মানুষে🥀র ৩১৫ কোটি, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ
আজ ইরফান বলেছেন, ‘...আমি সবাইকে বাইরে বেরিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে চাই... আমরা সাঁওতাল পরগনার সমস্ত আসনে বিশাল ব্যবধানে জিততে যাচ্ছি। বিজেপি শেষ হতে চলেছে। আপনারা গুজরাট থেকে এসেছেন, মধ্যপ্রদেশ থেকে এসেছেন অসম থেকে এসেছেন। এখানের বিষয়ে কিছু জানেন না। আমাদের এখানে সবাই বাংলায় কথা বলে। হিন্দু, আদিবাসীরা বাংলায় কথা বলুন, মুসলমানরাও বাংলায় কথা বলে। তার মানে এই না যে আমরা বাংলাদেশি... লোকেরা এই প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছে... ঝাড়খণ্ড বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত ভাগই করে না...’ (আরও পড়ুন: অ্যাঙ্কর ইনভেস্টরদের থেকে ৩৯৬০ কোটি টাকা উঠেছে, এখন NTPC গ্রিনের IPO-🉐র GMP কত?)
এর আগে ঝড়খণ্ডে এক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। প্রধনমন্ত্রী বলেছিলেন, 'তোষণার রাজনীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্যে এদের গোটা রাজ্যে বসবাসের জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল। পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা বড়। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কার্ফু জারি করা হয়, তখন জানা যায়, যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে প্রতারণা হচ্ছে। তখন বুঝতে হবে, জল মাথার ওপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন সেটা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গিয়েছে।' (আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্ꦉবমুখী হলুদ ধাতুর রেট, কলকাতায় পরপর দু'দিনে বিশাল লাফ সোনার দামে)
আরও পড়ুন: এখন ডিএ-বেতন বাড়ুক বা এক থাকুক, পরে বেশি ভরবে পকেট! চিন্তা 𝓀কমবে সরকারি কর্মীদের
এদিকে এই একই ইস্যুতে বাংলার উদাহরণ তুলে ধরে অমিত শাহ বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। কারণ সেখা🦋নে স্থানী প্রশাসনই অনুপ্রবেশে মদত দেয়। ঝাড়খণ্ডেও একই কারণে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এখানেও অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখানে বিজেপি সরকার গঠন হলে দলের নেতা-কর্মী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, সবাই অনুপ্রবেশ আটকাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে দেশ থেকে।' শাহ আরও বলেছিলেন, 'সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী মানুষের সংখ্য়া ক্রমেই কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আসছে দলে দলে। আমাদের মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের জমি দখল করছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায় তবে ঝাড়খণ্ডের পরিচিতি, তাদের সংস্কৃতি, কাজের সুযোগ, জমির অধিকার, মেয়েদের সুরক্ষা ♛কোনওটাই রক্ষা করা যাবে না। সেকারণেই বিজেপি স্লোগান তুলছে - রোটি, বেটি আর মাটি। ঝাড়খণ্ডে নারী নির্যাতনকারী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।'