পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে শুটআউটের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার সেনা জওয়ানের। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ নেই। বরং এক সেনাকর্মীই নিজের সহকর্মীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এদিকে এই ঘটনার নেপথ্যে ཧথাকা সেনা জওয়ান এখনও জীবিত আছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেনা ছাউনি থেকে খোয়া গিয়েছে একটি রাইফেল এবং ২৮ রাউন্ড গুলি। সেই অস্ত্র এবং গুলি সেই আততীয়র সঙ্গে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে ঘিরে ফে🎶রে কোণঠাসা করে ফেলেছে সেনার কুইক রেসপন্স টিম।
পঞ্জাব পুলিশের একটি সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দিন আগে✨ সেনা ছাউনি থেকে এক💟টি ইনসাস রাইফেল এবং ২৮টি কার্তুজ হারিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া রাইফেল এবং কার্তুজের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পুলিশের তদন্তকারীদের ধারনা হয়, রাইফেল ও কার্তুজ হারানোর ঘটনায় কোনও সেনা কর্মীই জড়িত ছিলেন। এই আবহে শসস্ত্র আততীয় যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি না করতে পারে, তার জন্য তৎপর পুলিশ। সেনা ছাউনির বাইরে ব্যারিকেড করে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। ওই এলাকার আশপাশ দিয়ে মানুষজন বা গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, সেনার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ঘটনা সম্পর্কে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ভোর ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা ছাউনির ভিতরে গুলি চালনোর ঘটনাটি ঘটে। এর পরপরই ‘ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিম’কে মোতায়েন করা হয় ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ভোর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই গুলি চালানোর ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।' এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে আমরা অনুমান করছি য🐬ে ছাউনিরই কোনও এক সেনা জওয়ান এভাবে গুলি চালিয়েছেন♛। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের।' ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মত তাঁর। এই আবহে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।