দালাল স্ট্রিটে ক্রমাগত গত কয়েকদিনে দাপট দেখিয়ে গিয়েছে ‘বুল রান’! তবে এবার ষাঁড়কে গুঁতো দꦗিতে স্টক মার্কেটে সারপ্রাইজ 'বিয়ার অ্যাটাক'। বাংলা তর্জমা করলে বলাই যায় , বুধবার দালাল স্ট্রিটের ষাঁড়কে থামিয়ে দিয়েছে ভল্লুকের হামলা! দেশের ইকুইটি লগ্নিকারীরা বুধবার তাঁদের সম্পত্🍌তিতে ভয়াবহ পতন দেখেছেন। সর্বকালের সেরার রেকর্ড ছোঁয়ার পর এজিন সেনসেক্স ৯৩১ পয়েন্ট পড়ে যায়।
বিএসই সেনসেক্সে বড়সড় পতনের জেরে লগ্নিকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৮.৯১ লাখ কোটি। আর তা তাঁরা হারিয়েছেন ১ দিনের মধ্যে। শতাংশের বিচারে ১.৩০ শতাংশ কমতি নিয়ে বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এদিন থামে। ৩০ শেয়ার বিএসই এদিন থামে ৭০,৫০৬.৩১ পয়েনꦉ্টে। প্রাথমিকভাবে তা ছিল, ৭০, ৯১৩.০৭ পয়েন্টে। এদিকে, বꦿাজারে রেকর্ড গড়ার দিনেই এমন রক্তপাতে কার্যত মুষড়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। নিফটির মিডক্যাপ সূচক আজ ১৩০০ পয়েন্ট কমেছে। উল্লেখ্য, স্টক মার্কেটে সাধারণত বুল ও বিয়ার এই দুই ধরনের বাজার দেখা যায়। ভল্লুক যেভাবে তার থাবা আর নাক দিয়ে হামলা করে শিকারকে ভূপতিত করে, অনেকটা সেভাবেই এই বিয়ার অ্যাটাক স্টক মার্কেটেও হয়ে থাকে। মূলত, বিয়ার মার্কেটের প্রেক্ষাপট সাধারণভাবে তখনই হয়ে থাকে, যখন বাজারে নেতিবাচক ভাবনা লেগে থাকে। যদি বিনিয়োগকারীদের বাজারের উপর আস্থা না থাকে, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন বিনিয়োগকারীরা নিজেদের স্টক বিক্রি করতে থাকেন। বিয়ার মার্কেট পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ লগ্নিকারীরা তাঁদের স্টক বিক্রি করতে থাকেন, আর তা কেনেন খুব কম জন। ফলে স্টকের দাম পড়তে থাকে। যার ফলে রক্তপাত শুরু হয় স্টক মার্কেটে।
(Crime: চা বানাতে দেরি করাꦆয় স্ত্রীকে তলোয়ার দিয়ে 💮খুন স্বামীর! হতভম্ব সন্তানরা, কোথায় ঘটল? )
মূলত, আরও ভেঙে বললে বলা যায়, বিয়ার মার্কেট হল নেতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন মার্কেট। এক্ষেত্রে🌊 লগ্নিকারীরা যেহেতু স্টক বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাই বাকি লগ্নিকারীরাও আস্থা রাখতে পারেন না স্টক মার্কেটে। ফলে ক্রমাগত ধ্বস দেখা যেতে🦋 থাকে স্টক মার্কেটে। এই পরিস্থিতির মাঝে সেনসেক্সে যে সমস্ত সংস্থার সবচেয়ে বেশি পতন দেখা যায়, তাদের মধ্যে রয়েছে টাটা স্টিল। টাটা স্টিলের এদিন ভয়ানক পতন দেখা গিয়েছে। এছাড়াও এর কুপ্রভাবের শিকার এনটিপিসি, এইচসিএল, টাটা মোটর্স, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, টেক মহিন্দ্রা, লারসেন অ্যান্ড টুবরো।