এতদিন বাংলার সংস্কৃতির মাধ্যমে নির্বাচনী ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রাখছিল🦋েন। এবার নির্বাচনী জনসভার ঢঙে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সরাসরি আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কড়া ভাষায় জানালেন, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলার কৃষকদের কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সঙ্গে বিঁধলেন বামেদেরও।
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির টাকা দেন মোদী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গেও সরাসরি কথা বলেন। পরে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে সরাসরি মমতা সরকারকে নি🌱শানা করেন মোদী। বলেন, ‘আজ এটাই আফসোস যে পুরো ভারতের ༺কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সব মতাদর্শের সরকার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার (তা চালু করেনি)। ওখানকার ৭০ লাখ কৃষক, আমার কৃষক ভাইবোনেরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পাচ্ছেন না। তাঁদের ওই টাকা মিলছে না। বাংলার সরকার রাজনৈতিক কারণে নিজেদের রাজ্যের কৃষকদের (বঞ্চিত করে রেখেছেন)। ভারত সরকারের থেকে পয়সা যাবে। রাজ্য সরকারকেও এক পয়সাও দিতে হবে না। তাও ওরা (কৃষকরা) টাকা পাচ্ছেন না।’
মোদী দাবি করেন, প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য লাখ লাখ কৃষক অনলাইনে ⛦আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাংলা। তাতে তিনি রীতিমতো ‘হতবাক’ এবং ‘দুঃখিত’ বলেও জানান। দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে যে দলের (বাম ও কংগ্রেস) বিরুদ্ধে লড়াই করছে, দিল্লিতে গিয়ে তা🥂দের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল।
সেই সুরেই নাম না করে বামেদেরও কড়া আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, ‘যাঁরা বাংলায় ৩০ বছর ধরে বাংলায় রাজত্ব করতেন। একটি রাজনৈত💎িক বিচারধারাকে নিয়ে বাংলার কী অবস্থা করেছেন, তা সারাদেশ জানে। মমতাজির ১৫ বছরের পুরনো ভাষণ শুনলে বুঝতে পারবেন, এই রাজনৈতিক ধারা বাংলার কতটা সর্বনাশ করে দিয়েছে।’
নাম না করেই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে মোদী বলতে থাকেন, ৩০ বছর ধরে যে দল রাজত্ব করেছেন, তাদের কত লোক আছেন। কিন্তু মমতা সরকার যে কিষান-ন💟িধি প্রকল্প চালু করেননি, তা নিয়ে বাংলায় কোনও আক্রমণ গড়ে তোলেনি সেই দল। তাঁর কথায়, ‘কৃষকদের জন্য যখন এত ভালোবাসা, তাহলে তখন নিজেদের ভূমি বাংলায় কৃষকদের ন্যায়ের জন্য, প্রধানমন্ত্রী কিষান-নিধি প্রকল্পের টাকা যাতে কৃষকরা পান, সেজন্য আন্দোলন করেননি কেন? কেন আপনারা কখনও আওয়াজ তোলেননি। কিন্তু আপনারা ওখান থেকে উঠে পঞ্জাবে পৌঁছে গেলেন। তখনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।’