আরব সাগরের তীরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশাল অভ্যর্থনায় ব্রাত্য রইল না বাঙালি। সোমবার দুপুরে এই অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে ভাষণ ও উপহারে হাজির ছিল প্রবাদপ্রতীম বাঙালিরা। স্বামী বিবেকানন্দ থেকে নন্দলাল বসু হয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই সবার অলক্ষ্যেই বার বার উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন বাঙালিরা।এদিন মোতেরায় হাজির ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের মেজাজেই আসন গ্রহণ করেন তিনি। গোটা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে হাসিখুশি মেজাজে। বিসিসিআই-এর উদ্যোগেই নতুন সাজে সেজেছে আমদাবাদের বিখ্যাত মোতেরা স্টেডিয়াম।তবে তার আগেই এদিন সবরমতী আশ্রমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নন্দলাল বসুর আঁকা গান্ধীজির ছবি উপহার দেয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন, সবরমতী আশ্রমের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কার্তিকেয় সারাভাই। সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হয়েছে গান্ধীজির আত্মজীবনী। ভারতের সংবিধানের অলঙ্করণ করেছিলেন বিশ্বভারতীর অন্যতম আচার্য নন্দলাল বসু। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের ছবিও তাঁরই তুলির টানে আঁকা।মোতেরায় ট্রাম্পের ভাষণে ফের উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন এক বাঙালি। ভারত – মার্কিন সম্পর্কের ঐতিহ্যের কথা মনে করাতে স্বামী বিবেকানন্দের নাম উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ‘বিবেকানন্দ’ উচ্চারণ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় তাঁকে। বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করে ট্রাম্প বলেন, 'যে মুহূর্তে আমি অনুভব করলাম যে প্রত্যেক মানব শরীরই একটা মন্দির আর সেই মন্দিরেই ভগবানের অধিষ্ঠান, সেই মুহূর্ত থেকেই প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আমি ভগবানকে দেখেছি। আর সেই মুহূর্ত থেকেই আমি মুক্ত।' এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও উচ্চারিত হয়েছে স্বামীজির নাম।সোমবার আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরে নামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া। সেখান থেকে তাঁরা সোজা চলে যান সবরমতী আশ্রমে। সেখানে চরকা কাটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পর তিনি যান মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।