ঠিক লাঞ্চ ব্রেকের পরই যদি থাকে অফিসꦅের মিটিং। আর লাঞ্চে যদি থাকে ধরুন, ইলিশ মাছের ভাপা কিম্বা পাঁঠার মাংস, আর তা খেয়েই ভাতঘুমভাব জাঁকিয়ে বসতে বাধ্য। এরপরই অফিসের ঠাণ🧜্ডা এসি রুমে মিটিং শুরু হলে চোখ খুলে রাখা অনেকের পক্ষেই মুশকিল হয়ে যায়। আবার ধরুন নাইট শিফ্টে কাজের মাঝে হালকা ঢুলুনি এসে গেল, কিন্তু অফিসের সিসিটিভিতে আপনি ঘুমোচ্ছেন দেখা গেলেই, ব্যাস! এমন সমস্ত কাণ্ড অবশ্য বেঙ্গালুরুর ওয়েকফিট সংস্থায় হওয়ার সম্ভাবনা কম! রয়েছে কারণও!
বেঙ্গালুরুর ওয়েকফিটের সহ প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া। সদ্য মেইল মারফৎ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্টার্ট আপে ৩০ মিনিট ঘুমের সময় পাবেন সমস্ত কর্মীরা। অফিসে কাজ করার সময় ঘুম পেলে ৩০ মিনিট বন্ধ- শান্ত ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে নেওয়ার অধিকার পেতে চলেছেন কর্মীরা। থাকবে ন্যাপপডের ব্যবস্থা। 'ঘুমের অধিকার' সংক্রান্ত এক পোস্টে সংস্থার তরফে একথা বলা হয়েছে। মেইলে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা লিখছেন, 'গত ছয় বছর ধরে আমরা ঘুম সঙ্গে জড়িত ব্যবসাতেই ছিলাম। আর আমরা দুপুরের ঘুমের বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারিনি।' এরসঙ্গেই তিনি মজা করে বলেন যে এবার থেকে তাঁর সংস্থা দুপুরের ভাতঘুমের প্রতি ন্যায় বিচার করবে। আর প্রতিটি কর্মী পাবেন দুপুরে আলাদা করে ঘুমের সময়। বহুক্ষণ কম্পিউটার বা টিভির সামন๊ে ব🦩সে থাকলে কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে?
নিজের বক্তব্যের নেপথ্যে যুক্তি হিসাবে তিনি মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা নাসা-র তথ্য রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে, অল্প সময়ের জন্য ঘুম বা ক্যাটন্যাপের ফলে ৩৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও হারভার্ডের একটি গবেষণা বলছে, কীভাবে ৩০ মিনিটের ঘুম বার্নআউট দূর করে। এই সমস্ত রিপোর্টকে সামনে রেখে সংস্থা জানিয়েছে দুপুর ২ টো♏ থেকে ২.৩০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত কর্মীরা ঘুমনোর জন্যꦯ 'টাইম' পাবেন।