সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাশনীর গ্রোভারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতপে'র বোর্ড। এমনটাই জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত দুই আধিকারিক। যে অ্যাশনী ভারতপে'র ম্যানেজিং ডিরেক্টরও। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে ভারতপে'র তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। নাম গোপন রাখার শর্তে দুই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ মিন্ট’-এ জানানো হযেছে, প্রাথমিক অভ্যন্তরীণ তদন্তের ভিত্তিতে অ্যাশনীরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতপে'র বোর্ড। যে তদন্তে প্রাথমিক আর্থিক জালিয়াতির ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছেন ওই দুই আধিকারিক। তাঁরা জানিয়েছেন, আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে একটি আইনি সংস্থা এবং একটি উপদেষ্টা সংস্থাকে নিয়োগ করেছে ভারতপে। যে তদন্তের রিপোর্ট দু'মাসের মধ্যে জমা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।‘লাইভ মিন্ট’-এ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে অনলাইন পেমেন্ট সংস্থার হেড অফ কন্ট্রোলস মাধুরী জৈন-সহ ১৫ জন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ভারতপে। মাধুরী আবার অ্যাশনীরের স্ত্রী। গোড়ার দিক থেকে ভারতপে'র আর্থিক এবং মানবসম্পদের দিকটি সামলেছেন তিনি। ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘কখনও কখনও সংস্থার তরফে একজন যোগ্য চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাশনীর সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছেন।’ যদিও সরকারিভাবে ভারতপে দাবি করেছে, আপাতত কোনও কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়নি। একটি বিবৃতিতে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে কোনও কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি ভারতপে'র বোর্ড। বহিষ্কার সংক্রান্ত যে কোনও রিপোর্টই ভিত্তিহীন এবং অসত্য। একটি স্বাধীন এবং সার্বিক অডিটের উপর বিশ্বাসী বোর্ড। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বা অডিট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।’ আগে একই দাবি করেছিলেন ভারতপে'র চিফ এগজিকিউটিভ সুহেল সমীর। যদিও মাধুরীকে বহিষ্কার এবং আর্থিক দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কোনও উত্তর দেননি ভারতপে।