প্রায় ৪২ বছর ধরে অসমের সরকারি ট্রেজারিতে রাখা ছিল গন্ডারের প্রায় আড়াই হাজার খড়্গ। বিশ্ব গন্ডার দিবসে সেই খড়্গই পুড়িয়ে ফেলা হল আগুনে। আর তার সঙ্গেই নষ্ট করে ফেলা হল গন্ডারের খড়্গে ওষধি গুণ থাকার সেই চিরাচরিত কুসংস্কার। মূলত খড়্গের লোভে গন্ডার হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্য়েই গন্ডারের খড়্গগুলিকে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসম ক্যাবিনেট। আদপে গন্ডারের খড়্গের যে কোনও মূল্যই নেই সেটাই বোঝাতে চাইছে সরকার। একেবারে মন্ত্রোচ্চারণ করে, শাঁখ বাজিয়ে ২ হাজার ৪৭৯টি খড়্গকে ৬টি বড় লোহার চিতায় দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। গুয়াহাটি থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে একটি স্টেডিয়ামে খড়্গগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ ক্য়াবিনেটের অন্যান্য সদস্যরা ড্রোনের মাধ্যমে ওই চিতায় আগুন দেন। বিভিন্ন সময় মৃত গন্ডারের দেহ থেকে ও পাচার হওয়ার সময় গন্ডারে খড়্গগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে এই বার্তাই দিতে চাইছি যে গন্ডারের খড়্গ শুধুমাত্র চুলেরই পরিবর্তিত রূপ। এটার কোনও ঔষধি গুণ নেই। কোনও কুসংস্কার বা মিথের উপর ভিত্তি করে এই বিরল প্রজাতির পশুকে হত্য়া না করার ব্যাপারে সকলকে অনুরোধ করছি। কেউ কেউ বলছেন এগুলিকে নষ্ট না করে বিক্রি করে দিলে ভালো হত। কিন্তু যেভাবে বাজেয়াপ্ত হওয়া ড্রাগ আমরা বিক্রি করতে পারি না, সেরকমই বাজেয়াপ্ত হওয়া গন্ডারের খড়্গও আমরা বিক্রি করতে পারি না। আফ্রিকাতেও এভাবেই গন্ডারের খড়্গকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেটাও এতটা পরিমাণে নয়। আমরা এব্যাপারে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেললাম।’ জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।