সারা দেশের সঙ্গে বিহারেও ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন ত্রাস। প্রবল সংক্রামক ক্ষমতা সম্পন্ন এই ভ্যারিয়েন্ট ক্রমেই দানবীয় আকার নিতে শুরু করেছে সারা দেশে। বাদ যায়নি বিহার। নীতীশ মন্ত্রিসভার পর পর ৫ মন্ত্রী করোনা পজিটিভ হয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী রেনু দেবী ও তারকিশোর প্রসাদ। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মন্ত্রী অশোক চৌধুরী, বিজয় চৌধুরী ও সুশীল কুমার।উল্লেখ্য, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে দেশের একাধিক প্রান্তে। সেই ভোট ঘিরে যখন প্রচার পারদ তুঙ্গে তখন দেশের পর পর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিতে শুরু করেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল উত্তরাখণ্ডে সভা করার পরই করোনার শিকার হন। একইভাবে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এদিকে, বিহারে পর পর ৫ মন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো ত্রস্ত সেরাজ্য। নীতীশ সরকারের তরফে একাধিক কড়া কোভিড বিধি ইতিমধ্যেই বিহারে লাগু হয়েছে। সেরাজ্যে পার্ক, জিম, সুইমিং পুল ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিহারের নীতীশ প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজে একাধিক সভা সমিতি বাতিল করেছেন। যেখানে তাঁর মন্ত্রিসভার একের পর এক মন্ত্রী করোনা পজিটিভ হয়ে পড়ছেন, তখন সতর্কতা অবলম্বন করে নীতীশ কুমার তাঁর সরকারি কর্মসূচি কাটছাঁট করতে শুরু করেন। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে বিহারে শুরু হয়েছিল 'সমাজ সুধার যাত্রা' যা শেষ হওয়ার কথা আগামি ১৫ জানুয়ারি। এই অভিযানের একাধিক অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমার যোগ দিলেও, আপাতত বাকি সভা তিনি বাতিল করেছেন।বিহারে মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের দোরগোড়ায় ছিল। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৩ ছিল। এদিকে, ইতিমধ্যেই বিহারে ১৪ দিনের রাতের কার্ফু জারি করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে যদিও একটিমাত্র ওমিক্রনের কেস সামনে এসেছে। এদিকে, বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে আপাতত ১৫০ জন করোনা পজিটিভ। এছাড়াও নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও ৭২ জন চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হয়েছেন।