অবিনাশ কুমারবিহারের মোতিহারি চোলাই মদকাণ্ডে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১জন। আরও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে এদিন। এদিকে সাতজন আবগারি ইনস্পেক্টরকে এবার শোকজের নোটিশ জারি করা হল। তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব চম্পারণের জেলা শাসক তাদের শোকজ করেছেন।তবে বেসরকারি হিসাবে সব মিলিয়ে ৩৭জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। জেলাশাসক সৌরভ জোয়ারদার জানিয়েছেন, তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মোতিহারির পুলিশ সুপার কান্তেশ কুমার মিশ্র পাঁচজন স্টেশন হাউজ অফিসার, ২ জন অ্যান্টি লিকার টাস্ক ফোর্সের আধিকারিক ও ৯জন চৌকিদারকে সাসপেন্ড করেছেন।গত ১৪-১৫ এপ্রিল রাতে এই ঘটনা হয়েছিল। একেবারে মৃত্যু মিছিল বিহারে। তবে এই বিহারেই মদ নিষিদ্ধ করা আছে। সেখানেই এই কাণ্ড!ইতিমধ্য়েই পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৮৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে দুজন চৌকিদার ছিলেন। বেআইনী মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যপক ধরপাকড় শুরু করেছে। হরসিধি পুলিশ স্টেশনে ওই চৌকিদাররা পোস্টিং ছিলেন। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে একেবারে মত্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মদ কোথা থেকে পাওয়া যাচ্ছে সেটা দেখার জন্য পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।পূর্ব চম্পারন জেলার পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে, ১০জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও ১০জনের চিকিৎসা চলছে।এদিকে চম্পারণ রেঞ্জের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জয়ন্ত কান্ত হিন্দুস্তান টাইমসকে আগেই জানিয়েছিলেন, অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। বেঁচে ফেরা বিনোদ পাসোয়ান জানিয়েছেন, বাবগঙ্গা গ্রামে আমরা পাকা গম তুলতে গিয়েছিলাম। সেখানেই মদের আসর বসেছিল।নির্দল এমএলসি আফাক আহমেদ জানিয়েছেন বলা হচ্ছে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।