রামনবমী উপলক্ষে বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল। সাসারাম সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছিল পুলিশকে। এই হিংসায় প্রাণ হারিয়েছিল এক নাবালকও। এই হিংসার তদন্তে নেমে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ। বিহার পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল জিতেন্দ্র সিং গাওয়ার গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছেন বজরং দলের এক নেতা। এই হিংসা পরিকল্পনামাফিক ছড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। (আরও পড়ুন: নবান্নর শাস্তির তোয়াক্কা না করে আজ থেকে দিল্লিত🍃ে কর্মসূচি শুরু DA আন🦹্দোলনকারীদের)
সাংবাদিক সম্মেলনে জিতেন্দ্র সিং বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহার শরিফের রামনবমীর মিছিলে যে সহিংসতা হয়েছিল তা সুপরিকল্পিত ছিল। রামনবমীর আগে ৪৫৭ জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় ছিল। এতে রামনবমী নিয়ে বার্তার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। এর জন্য একটি পৃথক এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, যার তদন্ত করবে অর্থনৈতিক অপরাধ গবেষণা দল। এই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আত্মসমর্পণ করেছেন বজরং দলের আহ্বায়ক কুন্দন কুমার। এছাড়াও, বিহার শরিফে মোট ১৫টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই হিংসার সঙ্গে জড়িত মোট ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাౠবনা বাংলার ৬ জেলায়, বেলা গড়ালে বাড়বে রোদের তেজ)
আরও পড়ুন: ‘এনআরসি নিয়ে ভুল ব♏ুঝিয়েছে তৃণমূল’, বীরভূমে সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টা শুভেন্𒈔দুর
বৃহস্পতিবার রামনবমীকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নালন্দা জেলার বিহার শরিফ শহর এবং সাসারাম জেলার রোহতাস। সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিহার শরিফের লাহেরি থানা এলাকার গগন দিওয়ান নামক পাড়ায় রামনবমী উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে বজরং দল। সেই সময় অন্য গোষ্ঠী মিছিলে পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। পরদিন পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এরপর দু'দিন পর ফের নতꦯুন করে সংঘর্ষ দেখা দেয় এই সব এলাকায়। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি ভুয়ো খবর ছড়ানো রুখতে এবং অশান্তি ঠেকাতে নালন্দা এবং সাসারাম সহ বিহারের একাধিক জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।