সংস্কৃতি ফালোর
ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের। তার আগে মুম্বই উপকূলে তাণ্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে। এদꦫিকে বড় বিপদ আসন্ন এটা বুঝতে পেরেই একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
গুজরাট উপকূল থেকে অন্তত ৪০ কিমি ভেতরে একটি অয়েল রিগে ৫০ জন ছিলেন। তাদেরকে একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরিয়ে আনার কাজ করা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। দুটি ব্যাচে অন্তত ৫০জনকে সরিয়ে আনা হয়েছ। প🐷্রথম দফায় ২৪জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় ব্য়াচে ২৬জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আস্তানায়। গুজরাটের ওখার কাছে ওই জায়গায় তেল খনন করা হচ্ছিল। কি সিঙ্গাপুর নামে একটি অয়েল রিগে তারা ছিলেন। ICG ALH ধ্রুব হেলিকপ্টারে তাদের সরিয়ে আনা হয়। একেবারে রূদ্ধশ্বাস অভিযান। মূলত এই অয়েল রিগের মাধ্যমে খনন করে তেল উত্তোলন করা হয়।
অ্য়াডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। একদিকে প্রবল ঝোড়ো𝓀 হাওয়া। প্রতি পদে বিপদের হাতছানি। তার মধ্যেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। তার মধ্য়েই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। তার মধ্য়েই চলল উদ্ধারকাজ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিরর্যয় ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গুজরাট উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। বুধবার সকালের দিকে বিপর্যয় ক্রমেই উত্তর অভিমুখে যাবে। উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে যাবে এই ঘূর্ণিঝড꧃়। গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছর মাঝমাঝি এটার ল্যান্ড ফল হতে পারে। পাকিস্তানের উপকূল সংলগ্ন এলাকাতেও এর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে।
সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছতে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার দফতরের সতর্কতা অনুসারে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১২৫-১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সেই ঝড় গতি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টাౠ গতিবেগে ধেয়ে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার গুজরাটের মান্দবি ও পাকিস্তানের রাজধানী করাচির মাঝামাঝি এই ঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই মু💎ম্বই উপকূলে এই ঝড় আগাম তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে।