ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে এই মুহূর্তে উত্তাল বাংলাদেশ। এপার বাংলাতেও এনিয়ে প্রতিদিনই তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন হচ্ছে। আর এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে এপারে বাংলাদেশিদের দোকানে তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দিতে একটি বিরাট প্রতিবাদ সভার আয়োজন কর💛েছিল সনাতনী ঐক্য পরিষদ। কিন্তু, সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির শেষে সভাস্থল ভরে উঠল বিরিয়ানির গন্ধে। সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিতরণ করা হল বিরিয়ানি। সভা শেষে প্রায় ১০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘এখনই হিন্দুদের বিরুদ্ধে অন্যায় বন্ধ হোক’, ইউনুসকে ইসল💖ামের পাঠ পড়িয়ে চিঠি জামা
সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ এবং চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ তোলা হয়, বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করে এদেশে বিরিয়ানির দোকান তৈরি করছে।তাই তাদের তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের দাগ দেওয়া হয়। সেই সভাকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার সনাতনী হিন্দুরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, সনাতনী ঐক্য পরিষদের আড়ালে এটি ছিল বিজেপির সভা। ফলে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও এই মিছিলে সম্মেলন। বিজেপির একাধিক নেতা বিধায়ক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা একে একে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তৈরি বিরিয়ানি ব𒁃য়কটের ডাক দেন। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে যেভাবে বিরিয়ানি দোকান গড়ে উঠছে কোনওভাবেই সেগুলি হিন্দুদের হতে পারে না। অর্জুন সিং সভা থেকেই বার্তা দেন, ওপার বাংলায় থাকা হিন্দুদের সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে। প্রয়োজনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিও লিখবেন বলে জানান।
সভায় ছিলেন কালিকানন্দ মহারাজ। তিনিও বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দেন। বিজেপির অন্যান্য নেতারাও একই বার্তা দেন। এর পাশাপাশি হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বিজেপি নেতারা। সভা শেষে সনাতনীদের নিয়ে নো ম্যানস ল্যান্ড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। সেখানে ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে জিরো পয়েন্টের ৩০ মিটার আগে বিএসএফ তাদের রমিছিল আটকায়। শেষে সেখানে বেলুন উড়িয়ে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। যদিও অনুষ্ঠান শেষে দেখা যায়, সভায় আসা মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিরিয়ানিরই প্যাকেট। জানা গিয়েছে, এদিন ১০ হাজার মানুষের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা ছিল। সভা শেষে সকলের হাতে বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হয়। প্রায় সকলের হাতেই বিরিয়ানির প্যাকেট দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা যুবনেতা ঋজু দত্ত। তাঁর কটাক্ষ, ‘এটা আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না।’