বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দির ভূমি পুজোর ঘনঘটার মাঝে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা মনে করে তৃপ্তি লাভ করছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সুনীল ভারালা। ভাঙা ম𓂃সজিদের ইটের টুকরো আজও ব্যক্তিগত সংগ্🅘রহে রেখে গর্বিত এই বিজেপি নেতা।
আরএসএস-এর🦹 হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখলেও ২৮ বছর আগে দ্রুত বিজেপি-র তরুণ কর্মী হিসেবে সক🐠্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ভারালা। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি অযোধ্যায় কর সেবক হিসেবে বাবরি ধ্বংসে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে এখনও গর্ববোধ করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্তমানে উত্তর প্রদেশ সরকারের শ্রমিক উন্নয়ন দফতরের চেয়ারম্যান ভারালা জানিয়েছেন, ‘তিন শতক ধরে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করা ওই তিনটি গম্বুজ ভেঙে ফেলা পরে তার ধ্বংসাবশেষের টুকরো সংগ্রহ করতে কর সেবকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। ওই তিন গম্🐽বুজ সংখ্যাগুরু হিন্দুদের নিজভূমে কোণঠাসা করে তুলেছিল। ওই মহার্ঘ্য ইটের টুকরো এখনও আমার বাড়িতে সংরক্ষিত রয়েছে।’
সে দিনের ঘটনা বলতে গিয়ে ভারালা জানিয়েছেন, ‘যতক্ষণ আডবানিজি মঞ্চের উপরে ছিলেন, তিনি কাউকে নিজের হাতে আইন তুলে না নিতে বার বার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরেই স্লোগান উঠল- এক ধাক্কা অওর দো.. আর তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠল আমার 🦹মতো নহবীন কর সেবকরা।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘বহু বছর ধরে রাম জন্মভূমির উপর♓ দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গ করে যাওয়া মসজিদ ভেঙে ফেলার জন্য তরুণ কর সেবকদের উৎসাহিত করতে স্বাধ্বী ঋতম্ভরার মতো নেতারা ক্রমাগত ভাষ🍌ণে আহ্বান জানাচ্ছিলেন, যে ডাক প্রত্যেক কর সেবকের মাথায় প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ’
ভারালা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মাফিক উত্তর প্রদেশ সরকারের ভুয়ো স্টিকার লাগানো সাদা গাড়ি চেপে আরও কয়েক জনের সঙ্গে তিনি অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ধুতি-কুর্তা ছেড়ে প্যান ও শার্ট পরেছিলেন তাঁরা🌺, জানিয়েছেন ভারালা। অযোধ্যায় তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা ও স্বাধ্বী ঋতম্ভরা। এর পর দ্রুত তাঁকরা বাবরি মসজিদের কাছে পৌঁছে গিয়ে ধ্বংসের কাজে হাত লাগান।
ভারালার কথায়, ‘এখনও মনে আছে, মসজিদ ভেঙে পড়ার পরে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করলে কী প্রবল ধাক্কাধাক্কি আর ছুটোছুটি শুরুহয়ে গিয়েছিল। জানি না, পুলিশের লাঠি থেকে বাঁচতে কত দূর দৌড়েছিলাম। কিন্তু যখন থামলাম, বুঝলাম অনেক দূরে চলে এসেছি। এ দিকে পকেটে তখন মাত্র ২০ টাকা সম্বল। এর পর কোনও রকমে বাড়ি ফিরলাম। কিন্তু ওই মসজিদ ভাঙা ইটের জন্য হুড়োহুড়ি, পুলিশক🍎ে বোকা বানানো আর পালানোর জন্য ঊর্ধ্বশ্বাস দৌড়ের কথা মনে গেঁথে গিয়েছে। আজ মনে হচ্ছে, সে সব কিছুই সফল হল।’