এবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হলেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এদিন টুইটে তিনি দাবি করেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে স্বপনবাবু যেমন রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেই একই কাজ ফের করা উচিত। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন।এদিন টুইটে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ জানান, ‘গত সপ্তাহে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। রাজনীতি তার নিজের নিয়মে চলবে। তবে আইন বলছে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে যেভাবে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেই পথই ফের অনুসরণ করা উচিত।’ ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা চিঠি দিলেও সেই চিঠি অবশ্য বিধানসভায় জমা পড়েনি। অধ্যক্ষ না আসায় এবং রিসিভিং সেকশন বন্ধ থাকায় সেই চিঠি অবশ্য বিধানসভার অফিসে জমা পড়েনি। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার সেই চিঠি জমা দেওয়া হবে। সেইমতোই এদিন অধ্যক্ষের অফিসে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি জমা পড়েছে।এদিকে রাজ্য বিজেপি যখন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব, তখন তৃণমূলের তরফে অনেক আগে থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে আবেদন করা হয়। তাঁদের সাংসদ পদ যাতে খারিজ হয়ে যায়, সেজন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠিও লেখেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভার অধ্যক্ষকে ফোনও করেন তিনি। তবে লোকসভার অধ্যক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানান নি। এখন দেখার মুকুল ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেন।