ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হবে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। কমিশন আগেই জানিয়েছিল যে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে এক দফাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পঞ্জাব সহ তিন রাজ্যে। তবে গতকালই নির্বাচন পিছꦛিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। আর এবার পঞ্জাবের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাল বিজেপি, ক্যাপ্টেনের পঞ্জাব লোক কংগ্রেস এবং শিরোমণি অকালি দল (সংযুক্ত)। এর আগে বিএসপিও পঞ্জাব নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জাꦜনিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ফেবജ্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী। এই উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী যাবেন পঞ্জাবের দলিতদের একাংশ। উল্লেখ্য, সে রাজ্যের দলিতরা গুরু রবিদাসের অনুগামী। এদিকে পঞ্জাবে ৩২ শতাংশ ভোটার দলিত। এই পরিস্থিতিতে বহুজন সমাজ পার্টি, কংগ্রেসের দলিত মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি-ক্যাপ্টেন জোট একযোগে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া দাবি তুলেছে।
পঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ শর্মা এই বিষয়ে বলেন, ‘রাজ্যে গুরু রবিদাসজির অনুগামীদের যথেষ্ট জনসংখ্যা রয়েছে। তফসিলি সম্প্রদায়েরও বহু তাঁ অনুগামী। পঞ্জাবের জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ ভোটার দলিত। লক্ষ লক্ষ ভক্তরা গুরুপর্ব উদযাপন করতে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে যাবেন। তাই তাদের পক্ষে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে যে ভোটের তারিখ পিছি𝔉য়ে দেওয়া হোক। যাতে পঞ্জাবের এই ভোটাররা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।’
এর আগে নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে লেখা এক চিঠিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান চরণজিৎ সিং চান্নিও। চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, ‘গুরু রবিদাসের জন্মতিথই উপলক্ষে আগামী ১০ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের তফশিলি জাতির মানুষরা উত্তরপ্রদেশএর বারাণসী যাবেন। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তাই তাঁরা যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারেন, তাই আমি এই নির্বাচন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদ💖ন জানাচ্ছি।’