উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে সেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কেশব প্রসাদ মৌর্যের। আর এবার যোগী সরকারের আনা বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাল উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদ। সেখানে এই বিলের বিরোধিতা করতে শোনা যায় কেশবকে। এমনকী বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরীও এই বিলের বিরোধিতা করেন। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় পাশ করানো হয়েছিল 'নজুল গভার্নমেন্ট প্রপার্টিজ বিল'। এই বিল পাশ হলে উত্তরপ্রদেশে প্রাইভেট নাগরিকদের যে জমি সরকার লিজ দিয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা চলে আসবে সরকারের হাতে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হোয়াটসঅ্যপ-ইনস♏্টা, পড়ুয়াদের গণপ্রহারে মৃত হিন্দু পুলিশকর্মী)
আরও পড়ুন: ඣসৌরভের কথা শুনে প্রতারিত, মহারাজের বিরুদ্ধে এবার পুলিশে অ♋ভিযোগ দায়ের ১২৭ জনের
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে গতবারের তুলনায় ফলাফল খারাপ হয়েছিল। এরপর থেকেই 'সরকার বনাম সংগঠন' দ্বন্দ্ব দেখা দেয় উত্তরপ্রদেশে। যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে যোগী নিজের পদ ধরে রেখেছেন। তিনি আবার এই হারের পরে বলেছিলেন, 'ওভার কনফিডেন্সের জেরেই ধাক্কা খেয়েছে দল'। পরে আবার কেশব পালটা মন্তব্য করেছিলেন, 'সরকারের থেকে সংগঠন বড়'। এই সব দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের পাশ করানো বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দিল বিধান পরিষদে বিজেপির সদস্যরা। উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। সেখানে বিজেপির ৭৯ জন সদস্য আছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবও বিধান পরিষদের সদস্য। যোগী এখন বিধানসভার সদস্য। ২০১৭ সালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রথম কোনও বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হল। (আরও পড়ুন: বꦯৈঠকে বাংলার বকেয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, রাজ্যের পকেটে আসছে ৩২৮ কোটি)
আরও পড়ুন: তৈরি হবে করিডর, জুড়বে বাংলার দুই প্রান্ত, খ𓂃রচ হবে ১০২৪৭ কোটি, অনুমোদন কেন্দ্রের
এই বিল পাশ না করানোর পরে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, 'তৃণমূল স্তরে ক্যাডারদের থেকে ফিডব্যা♕ক পেয়েই এই বিলকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামাজিক ভাবে এই বিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাতে বিজেপির লোকসান হতে পারে। এই বিলের মাধ্যমে সরকারের লিজ দেওয়া যেকোনও বিল্ডিং খালি করানোর অধিকার সরকারের হাতে। যে জমির ওপর বহু বছর ধরে কোনও একটি বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে, সেটা খালি করাতে গেলে মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হবে।' উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে যোগীর ক্যাবিনেট এই বিলকে পাশ করায়। পরে সেই বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়। তবে বিধান পরিষদে বিলটি পাশ হল না। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপিরই। তবে দলের রাজ্য সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে মত দেন। এদিকে বিধানসভায় এই বিল পাশ হলেও বিজেপিরই বেশ কয়েকজন বিধায়ক এই বিলের বিরোধিতা করেছিলেন। এই আবহে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।