'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস) নাম রাখা হোক 'আই নিড কমিশন' (আমার কমিশন চাই)।' রাফাল বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসকে এভাবেই পালটা তোপ দাগলেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সোমবার এক ফরাসি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, 'ভারতের সঙ্গে রাফাল চুক্তি যাতে কোনওভাবেই বানচাল না হয়, তা নিশ্চিত ক෴রতে গোপনে এক মধ্যস্থতাকারীকে অন্তত ৭৫ লক্ষ ইউরো দিতে হয়েছিল ফরাসি সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশনকে।' পাশাপাশি দাবি করা হয়, ২০১৩ সালের আগেই এই টাকা সেই মধ্যস্থতাকারীকে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রের সরকারে ছিল কংগ্রেসের সরকার। আর তাই এবার রাফাল নিয়ে কংগ্রেসকে পালটা তোপ দাগতে ময়দানে নামল বিজেপি।
এদিন রাফাল নিয়ে সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে পাল্টা আক্𒁃রমণ শানিয়ে বলেন, '২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এই বিশাল কেলেঙ্কারি ঘটেছিল। ফরাসি মিডিয়া বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। তারা জানিয়েছে কীভাবে এই রাফাল দুর্নীতি হয়েছিল। এত বছর ধরে কেন আপনি এবং আপনার দল রাফাল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেন? এখন তো সামনে এসেই গিয়েছে। আপনাদের সরকারের সময়ই রাফাল নিয়ে এই কমিশন খাওয়া হয়েছে। যিনি মধ্যস্থতাকারী তাঁর নামও তো সামনে এসেছে।'
এদিকে ফরাসি সংস্থা মিডিয়াপার্টের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের সঙ্গে রাফাল চুক্তিকে ঘিরে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কিনা, তা জানতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ফ্রান্সে। সেই তদন্তেরর উপর নজরদারি চালানোর দায়িত্বে ছিলেন একজন ফরাসি বিচারপতি। এরপর রবিবার মিডিয়াপার্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করে, ভুয়ো চালান ব্যবহার করেই দাসোঁ অ্যাভিয়েশনকে ওই ৭৫ লক্ষ ইউরো মধ্যস্থতাকারীকে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে দাসোঁর তরফܫে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি। এদিকে ফরাসি সংস্থার দাবি, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকেই ভারতীয় আধিকারিকদের কাছে এই তথ্য ছিল বলে দাবি করেছে মিডিয়াপার্ট।
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এর আগেও উঠেছে একাধিকবার। প্রতিবারই অভিযোগের তির ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে। ꦓতবে এবার হাওয়া বদলে বিজেপি এই মামলায় দুর্নীতির অভিಞযোগ তুলল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।