আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে চলেছে পদ্মা সেতুর। এই সেতু দিয়ে যান চলাচল আরম্ভ হলে, ঢাকা-বরিশালের যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। এখন যেখানে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করতে সময় লাগে সারা রাত, সেতু চালু হলে তা লাগবে তিন থেকে সাড়া তিন ঘন্টা। এই সব কথাতে একেবারেই চিন্তিত নন এলাকার স্থানীয় নৌ-ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, লঞ্চ বরিশালের মানুষের কাছে একটা আবেগ। এছাড়া সমাজের নিম্ন আয়ে🎃র মানুষের কাছে লঞ্চে যাতায়াত অনেকটাই সাশ্রয়ী। লঞ্চ মালিকদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণ দিনে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করেন। লঞ্চ মালিকরা মনে করেন সেতু উদ্বোধনের পরে ৬ মাস হয়তো এই যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমবে। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভা♊বিক হবে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন লঞ্চ মালিক কম খরচের আরামদায়ক লঞ্চ তৈরি করা শুরু করে দিয়েছেন।বরিশাল শহরের, নদী তীরে তার সুন্দরবন ডক ইওয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে নতুন লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১৬ ও সুন্দরবন-১৪। এই ডক ইয়ার্ডের আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৩১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬০ ফুট প্রস্থের তিনতলা লঞ্চ দুটিতে রাখা হচ্ছে লিফট সুবিধা। জুনেই এর নির্মা💧ণ শেষ হবে। যাত্রী পরিবহন শুরু হবে জুলাই থেকে।
সময়ের চাহিদা মতো দ্রুত গতির লঞ্চ তৈরি করার কথাও ভাবছেন বেশ কিছু নৌ-ব্যবসায়ী। এমনই একজন নৌ-ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে লঞ্চে করে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াতে সময় লাগত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। কিন্🥀তু এখন লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। আগামী দিনে তাঁরা আরও দ্রুত গতির লঞ্চ তৈরির চিন্তা ভাবনা ♚করছেন।
নৌ-ব্যবসায়ীরা বলছেন, নৌ-পথে দুর্ঘটনা সড়কপথের থেক🐼ে অনেক কম। তাছাড়া লঞ্চে পরিবারের সঙ্গে যেমন সুন্দরভাবে ভ্রমন করা যায় বাসে কখনও তা সম্ভব নয়। কারণ বাসে এক জায়গায় দꦐীর্ঘক্ষন বসে থাকতে হয়। এছাড়া লঞ্চ মালিকরা বলছেন, লঞ্চে কম খরচে ভ্রমন উদযাপনের যে সুযোগ আছে বাসে তা নেই। বরিশালের ভ্রমন-বিলাসী মানুষেরা সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না।