তিনি 'কর্মরত' মহিলা বলে তাঁকে সন্তান দত্তক নেওয়ার অনুমতি দেয়নি আদালত। কারণ হিসাবে সিভিল কোর্ট যে তথ্য তুলে ধরেছিল, তা হল, মহিলা যেহে♛তু কর্মরতা তাই তিনি সন্তানের সঠিক যত্ন ও সন্তানকে নজর দিতে পারবেন না ঠিকভাবে। ফলে সিভিল কোর্টে ওই মহিলার সন্তান দত্তক নেওয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর ওই কর্মরত মহিলা দত্ত নিতে চেয়েছিলেন সন্তান। সিভিল কোর্টের এই রায়কে খারিজ করে তা ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতা’ বলে তকমা দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি গৌরী গডসের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। তার আগে ভুসাওয়ালের এক কোর্টে এই মামলা ওঠে। সেই সিভিল কোর্টই ওই কর্মরতা মহিলাকে 'কর্মরতা' হওয়ার কারণ সন্তান দত্তক নিতে অনুমতি দেয়নি। সেই রায়কে কার্যত খারিজ করে দিয়ে ভর্ৎসনা করে বম্বে হাইকোর্ট। বম্বো হাইকোর্ট ভর্ৎসনার সুরে বলে ‘যোগ্য কোর্ট একটি তুলনা টেনে বলছে, জৈবিক দিক দিয়ে মা একজন ঘরোয়া স্ত্র🍸ী (হাউস ওয়াইফ), আর সম্ভাব্য দত্তক নিচে চলা মাকে বলা হচ্ছে কর্মরত মহিলা। এটি এমন একটি পরিবারের ধারণা দেয়, যা মধ্যযুগীয় রণক্ষশীল মানসিকতার পরিচায়ক।’ কোর্ট আদালতে রাখা ন্যায়মূর্তির কে লক্ষ্য করে বলে, যখন মূর্তি অনুমোদন দিচ্ছে একক অভিভাবককে সন্তান দত্তক নিতে তখন সিভিল কোর্টের রায় সেই মূর্তির লক্ষ্যে বাধা প্রদান করছে। বিচারপতি এদিন বলেন, ‘এমন ভাবনা আসতেই পারে না যে একজন একক অভিভাবক কর্মরত বলে তিনি সন্তান দত্তক নিতে পারবেন না।’
(নামী নিউজ চ্যানেলের💟 মার♛্কেটিং হেড অপহৃত! পাকিস্তানে হিন্দুর অপহরণ ঘিরে তোলপাড় )
উল্লে🐻খ্য, আইনি প্রক্রিয়ায় সন্তান দত্ত নেওয়ার পথে গিয়ে ওই বিবাহবিচ্ছিন্ন হওয়া মহিলা কোর্টের অনুমতি চেয়েছিলেন। তখনই তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সিভিল কোর্ট। এরপর এই মামলা যায় হাইকোর্টে। বম্বো হাইকোর্টের রায়ে সাফ জানানো হয়, জেজে অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় যেকোনও সম্ভাব্য অভিভাবক এককভাবে সন্তান দত্তক নিতে পারেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড ไকরার লিঙ্ক💙