দীরܫ্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছেন বিরোধীরা🌞। যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বাজেটে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে চারটি কৌশলগত ক্ষেত্রকে সেই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।
সোমবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের নীতির ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানান, আগামী অর্থবর্ষে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, একটি বিমা সংস্থা-সহ একাধিক রাষ্🐼ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বাজার থেক🐈ে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। দুটি ব্যাঙ্ক এবং বিমা সংস্থার নাম উল্লেখ করেননি সীতারামন। বাজেট-পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকেও সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাম প্রকাশ করেননি। বরং জানান, সাংবাদিক বৈঠকে যদি নাম বলেই দেন, তাহলে বাজেট বক্তৃতায় সংসদেও নাম প্রকাশ করতে পারতেন।
একইসঙ্গে সীতারামন জানিয়েছেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে যে নয়া অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে, সেখানে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক (দুটি রা♉ষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছাড়া), ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল), শিপিং কর্প, কন্টেনার কর্পোরেশন, নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেড-সহ কয়েকটি ‘স্ট্র্যাটেজিক সেল’ (যখন সরকার কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থান মালিকানা এবং অধিকার অপর কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে যায়) সম্পূর্ণ করা হবে। তার ফলে বিলগ্নিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের হাতে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ থাকবে।
তবে আগামী অর্থবর্ষেই কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ মিশন থামছে না। বরং সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পরবর্তী পর্যায়ে কোন কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ করা হবে, ইতিমধ্যে নীতি আয়োগকে সেই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সীতারামন জানিয়েছেন, কোন ﷺকোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ক্ষতির বোঝা নিয়ে চলছে, সেগুলি দ্রুত বন্ধের একটি সংশোধিত প্রক্রিয়াও তৈরি করা হবে। রাজ্যের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিও বিলগ্নিকরণের জন্য একটি প্যাকেজ তৈরি করে রাজ্যগুলিকে ইনসেনটিভ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে 𒁃কেন্দ্র।
গতবারের বা🌳জেটেই বেসরকারিকরণ এবং কম শেয়ার-যুক্ত সরকারের মালিকাধীন সংস্থাগুলি বিক্রির মাধ্যমে ২.১ লাখ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন সীতারামন। তার মধ্যে কেন্দ্রের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বেচে ১.২ লাখ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার থেকে ৯০,০০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু করোন♍াভাইরাস পরিস্থিতির জেরে সেই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৩২,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ পরিকল্পনা যথারীতি আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চড়া সু♏রে জানান, দেশের সবকিছু সম্পত্তি বেচে দিচ্ছে মোদী সরকার। আক্রমণ শানান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেন, 'মানুষের হাতে নগদ দেওয়ার কথা ভুলে যান। মোদী সরকার তো ভারতের সম্পদ নিজের অন্তরঙ্গ পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।' যদিও রাহুলের আক্রমণের পালটা দিয়েছেন সীতারামনও। অভিযোগ করেছেন, কেরালায় ক্ষমতায় থাকায় সময় একটি বন্দরের মালিকানা কংগ্রেস নিজেদের ‘বন্ধু’-র হাতে তুলে দিয়েছিল। রাহুলকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অপক্ক এবং অজ্ঞ হিসেবেও কটাক্ষ করেন তিনি।