একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। গুজরাটের সুরাটে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ৬ তলা বিল𒅌্ডিং। অনেকেই সেই ভেঙে পড়া বিল্ডিংয়ের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছেন বলে খবর। সেই ভেঙে পড়া বিল্ডিংয়ে চলছে উ🏅দ্ধারকাজ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই ও পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার গুজরাটের সুরাটের শচীন এলাকায় একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে। বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজ চলছে।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়েছি একটি ছয়তলা ভবন ধসে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪-৫টি ফ্ল্যাট ভেঙে গিয়েছে। এক মহিলাকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও ৩-৪ জন ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকে রয়েছেন। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ উভয় দলই তাদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে,' পিটিআইকে বলেছেন সুরাটের কালেক্টর সৌরভ পারধি।
সুরাটের পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গহলৌত বলেন, 'আজ বিকেল তিনটে নাগাদ সচিন এলাকায় একটি ছ'তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই ভবনে বসবাসকারী অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সফলভাবে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনের ভেতরের ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৪-৫টা ফ্ল্যাটে লোকজন থাকলেও বাকিগুলো ফাঁকা ছিল। অনেকে কাজে ছিলেন এবং যারা রাতের শিফটের পরে ঘুমিয়ে ছিলেন তারা আটকা পড়েছিলেন। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ সকলেই কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৫-৬ জন আটকে রয়েছেন।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বিল্ডিং ধসে গিয়েছিল। তারপর এবার গুজরাটে ভেঙে পড়ল বিল্ডিং। একেবারে ভয়াবহ ঘটনা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মোরবি শহরে একটি নির্মীয়মাণ 🦋মেডিক্যাল কলেজ ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে চার শ্রমিক আহত হন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সাত ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয় আরও এক শ্রমিককে।
গত ৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে শ্রমিকরা নতুন ভবনের দোতলায় ছাদ ভরাটের কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
গত ৩০ জুন দিল্লির হর্ষ বিহার এলাকায় একটি পুরনো বাড়💃ির ছাদের একাংশ ধসে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়ꦦ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন ছাদে খেলছিল ওই কিশোর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।