সিং রাহুল সুনীলকুমারমুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ শতাংশ কাজ এখনও পর্যন্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। তিনি টুইটারে এনিয়ে এই রেল প্রকল্পের অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন।মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৬.৩৩ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সব মিলিয়ে ১৩.৭২ শতাংশ কাজ করেছে। অন্য়দিকে গুজরাটে সিভিল ওয়ার্কের ৫২ শতাংশের বেশি কাজ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৩৬. ৯৩ শতাংশ।রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫৭.০৬ কিমি পাইলিং ওয়ার্ক হয়েছে। ৩৭.৬৪ কিমি গার্ডারের কাজ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০০ গাছ অন্য জায়গা থেকে এনে বসানো হয়েছে। ৮৩,৬৯৯ গাছের চারা বসানো হয়েছে।এবার এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ৫টি পয়েন্ট একবার দেখে নেওয়া যাক।১) মুম্বই আমেদাবাদ রুটটি হল দেশের একমাত্র হাইস্পিড রেল প্রকল্প। এই প্রজেক্টটি বাস্তবে রূপায়ণের ক্ষেত্রে জাপানি সংস্থা সহায়তা করছে।২) অপারেশনাল প্ল্যান অনুসারে এই রুটে প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিমি বেগে ট্রেন যাবে। ৫০৮ কিমি পথ পেরবে এই বুলেট ট্রেন। সব মিলিয়ে ১২টি স্টেশন থাকবে। একমুখী ৩৫টি ট্রেন থাকবে প্রতিদিন। পিক আওয়ার্সে প্রতি ২০ মিনিটে একটি করে ট্রেন থাকবে। নন পিক আওয়ার্সে ৩০ মিনিট অন্তর ট্রেন থাকবে।৩) এক ঘণ্টা ৫৮ মিনিটে গোটা রাস্তা পেরবে। এদিকে প্রচন্ড জোরে ট্রেনটি চলবে। তীব্র শব্দও হতে পারে। সেকারণে বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এতে যাতে যাত্রীদের দেখতে সমস্যা না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে। ৪) এই প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ১,১০.০০০ কোটি টাকা।৫) বারানসী ও দিল্লির মধ্য়েও এই ধরনের অপর একটি প্রকল্প তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে সেটা কতটা ঠিকঠাক হবে সেটা দেখা হচ্ছে। এই রুটের বাঁক যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করা হবে।এর মধ্য়ে মোটামুটি ১৩টা স্টেশন থাকবে। মোট দূরত্ব ৯৮৫ কিমি। দিল্লি, নয়ডা, জেওয়ার এয়ারপোর্ট, আগ্রা, মথুরা, নিউ আটোয়া, দক্ষিণ কনৌজ, লখনউ, অযোধ্যা, রায়বেরিলি, প্রয়াগরাজ, নিউ ভাদোহি, বারানসী। পরপর এই স্টেশনগুলি পেরিয়ে যাবে বুলেট ট্রেন। কবে বাস্তবে রূপায়িত হবে সেটাই এখন দেখার।