স্বামীকে হিজড়া বলা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। এক্ষেত্রে এই গ্রাউন্ডে স্বামী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কোর্ট জানিয়েছেন, এই নিষ্ঠুরতার পরিমাণ পরিমাপ করাটা সম্ভব নয়। এটার কোনও গাণিতিক পদ্ধতি নেই। তবে গুরুত্বের ভ♍িত্ত🔯িতে প্রতিটি পরিস্থিতিকে যাচাই করা দরকার।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্বামীকে হিজড়ে বলে ডাকা ও তার মাকে বলা যে আপনি একটা হিজড়ের জন্ম দিয়েছেন এটা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। এমনকী𝓰 স্ত্রী যে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন সেটাও খারিজ করে দিয়েছে লোকাল কোর্ট। তারা জানিয়েছে এমন কোনও কিছুই হয়নি।
স্ত্রীর সামগ্রিক কাজ সম্পর্কে বিবেচনা করে আদালত জানিয়েছে ওই দম্পতি ৬ বছর ধরে আলাদা বাস করছেন। পারিবারিক আদালত জানিয়েছে, এই ফাটলকে মেরামত করাটা সম্ভব নয়। এটা মরে যাওয়া একটা কাঠের সমান। বিচারপতি সুধীর সিং ও বিচারপতি যশজি সিং বেদী হরিয়ানার বাসিন্দা ওই মহিলার দাবিকে খারিজ করে দিয়েছ𒆙ে।
হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের পারিবারিক আদালত গত ১২ জুলাই যে অর্ডার পাশ করেছিল ﷺসেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্ত্রী। সেখানে স্বামীর আবেদনের ভি🎃ত্তিতে ডিভোর্স মঞ্জুর করেছিল পারিবারিক আদালত।
২০১৭ সালের ২রা ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। তবে তাঁদের কোনও 📖সন্তান হয়নি। স্বামী জানিয়েছেন, তারা বাড়ির দোতলায় থাকতেন। আর তাঁর বাবা মা একতলায় থাকতেন। স্ত্রী দেরি করে ঘুম থেকে উঠতেন। তিনি বলতেন, আমি দেরি করে ঘুম থেকে উঠি। আমাকে কেউ যেন ডিসটার্ব না করে।
এরপর তিনি দোতলা থেকে বলতেন যাতে শাশুড়ি খাবার দিয়ে যান। এদিকে সেই শাশুড়ি বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। স্বামীর মতে, আমার স্ত্রী পর্ন ভিডি𓃲♋য়ো দেখতেন, আর সেসব দেখে স্ত্রী সেই সব ভঙ্গিমা চাইতেন সহবাসের সময়।
এমনকী সহবাসে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী পেরে ওঠে না বলে 🐼নানা সময় তিনি কটাক্ষ করতেন। এমনকী ওই মহিলা বলতেন আমি অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে চাই।
এদিকে ২০১৭ সালে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর ২০১৮ সালে তার বাবা ও ভাই এসে জানান ওই মহিলা আর ফিরতে চান না। সে ডিভোর্স চায়। এমনকী পঞ্চায়েতকেও জানানো হয়। তবে ডিভোর্স না দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী আত্মহত্🍌যা করে তিনি সবাইকে ফাঁসিয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়।