কোনও প্রার্থীর সম্পত্তির খুঁটিনাটি জানার সর্বাত্মক অধিকার নেই ভোটারদের। শুধুমাত্র ভোটদানের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে, সেরকম ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্যের খুঁটিনাটি জানার অধিকার আছে। এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের প্রতিটি অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র যে যে সম্পত্তির মূল্য বেশি এবং যে যে সম্পত্তির মাধ্যমে বিলাসবহুল জীবনযাপনের ছবি ফুটে ওঠে, সেগুলির তথ্য প্রার্থীদের জানাতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর কী🍸 কারণে সেই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, সেটাও শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রার্থীদেরও সেইসব বিষয়ের ক্ষেত্রে গোপ🤪নীয়তা রক্ষার অধিকার আছে, যেগুলি তাঁর প্রার্থীপদের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।
সুপ্রিম কোর্ট যে🅘 মামলার প্রেক্ষিতে সেই পর্যবেক্ষণ করেছে, সেটা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। অরুণাচল প্রদেশের তেজু বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী কারিখো ক্রিয়ের নির্বাচনের বৈধতা বজায় রাখার সময় সেই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে গুয়াহাটি হাইক𒆙োর্টের রায়। যে রায়ে ওই নির্দল প্রার্থীর নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়েছিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
বিষয়টা ঠিক কী হয়েছিল?
ওই নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় স্ত্রী ও ছেলের মালিকাধীন তিনটি গাড়ির কথা উল্লেখ না করে অযাচিত প্রভাব খাটিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওই গাড়িগুলি যে কারিখোর স্ত্র♈ী এবং সন্তানের মালিকাধীন, তা এখনও বলা যায় না। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (২) ধারার আওতায় সেটিকে অবৈধ কাজ বলা যায় না।
সুপ্রিম কোর্ট কী কী বলেছে?
ওই নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সওয়াল করা হয়েছিল যে প্রার্থীদের সম্পত্তি সংক্𝔍রান্ত সমস্ত তথ্য জানার অধিকার আছে ভোটারদের। তাই সম্পত্তি সংক্রান𒉰্ত সব তথ্য প্রকাশ না করে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অরুণাচলের ওই নির্দল প্রার্থী। সেই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে যদি না ভোটদানের উপর প্রভাব ফেলে, তাহলে বাধ্যতামূলকভাবে কোনও প্রার্থীকে নিজের সব সম্পত্তির তথ্য জানানোর প্রয়োজন নেই।