ভারতীয় সেনায় মহিলা অফিসারদের মোতায়েনের অধ্যায়ে আরও এক নতুন💝 অধ্যায়ের সূচনা করলেন ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান। ভারতীয় সেনায় সিায়াচেনে মোতায়েন হওয়া তিনিই প্রথম মহিলা অফিসার। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্রে হিসাবে সিয়াচেনের নাম উঠে আসে। আর সেখানেই এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলাকে মোতায়েন করল ভারতীয় সেনা।
মঙ্গলবার সিয়াচেনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদে যোগ দেন শিবা। এই যোগদানের আগে এক মাস ধরে টানা এক কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্যে তাঁকে রাখা হয়। ভারতীয় সেনার 'সিয়াচেন ব্যাটেল স্কুল' থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। তারপরই তাঁকে মোতায়েন করা হয় বিশ্বের সুউচ্চ পর্বতমালার এই যুদ্ধক্ষেত্রে। তাঁর প্রশিক্ষণের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল সহনশীলতার প্রশিক্ষণ। এছাড়াও বরফের দেওয়ালে চড়া, তুষারপাতে থাকা থাকা তো ১ মাসের প্রশিক্ষণে ছিলই। এর সঙ্গেই ছিল ক্রিভেস রেসকিউ, সার্ভাইভাল ড্রিলের মতো প্রশিক্ষণ। ভারত🧸ীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘বহু ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে ক্যাপ্টেন শিবা নিজের অপ্রতিরোধ্য প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকে নিজের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। আর তাঁকে নি♛য়োগ করা হচ্ছে সিয়াচেন হিমবাহে।’ উল্লেখ্য, ২জানুয়ারি ২০২৩ সালে এক চ্যালেঞ্জে ভরা পর্বাতারোহণের মাধ্যমে শিবাকে পৌঁছতে হয় সিয়াচেনে। সেই রাস্তাও খুব একটা সহজ ছিল না। তবে এই ভারতীয় মহিলা এক পাও পিছু হঠেননি নিজের লক্ষ্য থেকে।
ক্যাপ্টেন শিবা রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছেন স্ন্যাপারদের। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার এই মহিলা অফিসারকে তিন মাসের জন্য সিয়াচেনে মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে যু🍌দ্ধ 𒈔সম্পর্কিত কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক শেষ করে ফিরবে শিবার টিম।
কে এই ক্যাপ্টেন শিবা?
রাজস্থানের ভূমিকন্যা ক্যাপ্টেন শিবা। তিনি, বেঙ্গল স্ন্যাপার অফিসার ভারতীয় সেনার। ১১ বছর বয়সে তিনি হারিয়েছেন বাবাকে। 🌜লালন পালন করেছেন মা। রাজস্থানের এনজেআর ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পড়ুয়া ক্যাপ্টেন শিবা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্রীই পরে যোগ দেন ভারতীয় সেনায়। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শিবা চিরকালই চাইতেন ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে। অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে তাঁর প্রশিক্ষণের সময়ই তিনি নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন। তাꦡরপরই শিবাকে আলাদা করে নজরে রাখে ভারতীয় সেনা। এরপর দেশে এক ঐতিহাসিক মাইলস্টোনে পা রাখেন ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান।