আবারও অস্বস্তিতে পড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআরসিপি সভাপতি জগন মোহন রেড্ডি। দলের পার্টি অফিস আগেই ভেঙে চু𒁏রমার করে দিয়েছিল অন্ধ্র সরকার। আর এবার জগন মোহন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ। গুন্টুর জেলার নাগারামপালেম পুলিশ শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হেফাজতে নির্যাতন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরশাসকের মতো’- YSRCP-র অফিস ভেঙে ফেলা নিয়ে চন্দ্রবাবুকে কটাক্ষ জগনে𝔉র
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের উন্দির বিধায়ক কে রঘুরাম কৃষ্ণম রাজু (আর আর আর) অভিযোগ করেছেন, তিনি একটি মামলায় জেলে থাকার সময় তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল। তাঁকে মারধর করা সহ শারীরিক নির্যাতন, শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জগন রেড্ডি ছাড়াও পুলিশের প্রাক্তন ডিজি (গোয়েন্দা) পিএসআর অঞ্জনেয়ুলু, প্রাক্তন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) এবং গুন্টুরের সরকারি জেনারেল হাসপাতালের প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই পা🦂ঁচ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৬৬, ১৬৭, ১৯৭, ৩০৭, ৩২৬, ৪৬৫, ৫০৬ আর/ডব্লিউ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।
এফআইআর অনুযায়ী, রঘুরাম কৃষ্ণম রাজুকে ২০২𝓀১ সালের মে মাসে হায়দরাবাদে সꦕিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এরপর হায়দরাবাদের স্থানীয় আদালতে হাজির সিআইডি তাঁকে গুন্টুরে নিয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁকে সিআইডি অফিসার পিভি সুনীল কুমার, পিএসআর এবং আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার রাবার বেল্ট এবং লাঠি দিয়ে মারধর করেছিলেন।তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির নির্দেশে বিধায়ককে তাঁর হৃদরোগের জন্য ওষুধ খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পুলিশ তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে এবং তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড জানানো না পর্যন্ত তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে বিধায়ককে জিজিএইচ গুন্টুরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে হাসপাতাল সুপার ডাঃ জি প্রভাবতী তাঁর চিকিৎসা করেন। সেখানে তিনি 🅰মিথ্যা মেডিক্যাল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করেছিলেন যে পুলিশ বিধায়ককে কোনওভাবেই মারধর করেনি।