২০১৯ সালের নির্বাচনে অন্ধ্র থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। তবে ৫ বছরের ব্যবধানেই ফের ঘুরে দাঁড়ালেন চন্দ্রবাবু। এই আবহে আজ চতুর্থবারের জন্য অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন টিডিপি প্রধান। বিজয়ওয়াড়াতে হয় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তাঁর সঙ্গে আজ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জনসেনা প্রধান পবন কল্যাণ। এদিকে চন্দ্রবাবু নাইডু এর আগে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে বিভাজিত অন্ধ্রের মসনদে বসেছিলেন চন্দ্রবাবু। তবে ২০১৯ সালে তিনি এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে তিনি খুব বাজে ভাবে হেরে যান অন্ধ্রে। তবে পাঁচ বছর বাদে পুরনো বন্ধু বিজেপির হাত ধরে ফিনিক্স পাখির মতো ফের 𝔍ঘুরে দাঁড়ালেন চন্দ্রবাবু।
আজ চন্দ্রবাবুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে 🤪উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। এছাড়াও রজনীকান্ত সহ দক্ষিণের তাবড় অভিনেতারাও উপস্থিত ছিলেন আজকের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে এনডিএ-র সরকারের স্থায়িত্ব অনেকটাই নির্ভর করছে চন্দ্রবাবুর ওপরে। এই আবহে চন্দ্রবাবুর দলের ৩৬ বছর বয়সি সাংসদ রাম মোহন নাইডুকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়েছে। টিডিপির আরও এক সাংসদকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। 💦এদিকে জানা যাচ্ছে, টিডিপি সংসদের স্পিকারের পদের দাবি জানিয়েছে। ওদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধ্রের জন্য একাধিক দাবি সামনে রেখেছেন চন্দ্রবাবু। দাবি করা হচ্ছে, অন্ধ্রের পিছিয়ে পড়া ৭ জেলার জন্যে তিনি বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। তাছাড়া অন্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদা, বিজওয়াড়া মেট্রোর জন্য ৫০ শতাংশ অর্থসাহায্য চেয়েছে টিডিপি।
উল্লেখ্য, ⛄অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫ লোকসভা আসনে ১৭ টিতে প্রর্থী দিয়েছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। সেখানে ১৬টি আসনেই জিতেছে তারা। তাদের জোটসঙ্গী পবন কল্যাণের জনসেনা জিতেছেন ২টি আসনে, বিজেপি জয়ী তিন আসনে। এদিকে ১৭৫ আসনের বিধানসভা ভোটে টিডিপি জয়ী ১৩৫টি আসনে, জনসেনা জিতেছে ২১ আসনে, বিজেপি ৮ আসনে। এদিকে এবারের ভোটে বিজেপি ২৪০টি আসনে জিতেছে। অর্থাৎ, ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৩২ ধাপ পিছিয়ে আছে বিজেপি। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সমর্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে এবারে তাদের সরকার জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভরশীল। আর যাদের ওপর বিজেপিকে ভরসা করে থাকতে হবে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। এই আবহে রাজ্য রাজনীতিতে ভরাডুবি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জাতীয় স্তরে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন 'সিবিএন'।