ঘটনা বিহারের নওদা জেলার রজৌলি এলাকার। ইউজিসি নেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ♔ফাঁসের কাণ্ডে তদন্ত করতে সেই গ্রামে রবিবার প্রবেশ করেছিল সিবিআইয়ের টিম। আর গ্রামে প্রবেশ মাত্রই সিবিআইকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও খবর। তদন্তে নেমไে পুলিশ ২০০ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তের মধ্যে মাত্র ৮ জনের নাম সামনে এসেছে।
গোটা পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মুখোমুখি বচসা শুরু হয় সিবিআই টিমের। গোটা ঘটনা মোবাইলে ধরা পড়ে। পুলিশ বলছে, গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন যে, ওই সিবিআই টিম ভুয়ো। তা ভেবেই তাঁরা চড়াও হন। অভিযোগ সিবিআইয়ের টিমের সদস্যদের ওপর চড়াও হন তাঁরা। রবিবার দুপুরে রজৌলির কোসিয়াড়ি গ্রামে গিয়েছিল সিবিআই টিম। টিমে ছিলেন ছিলেন চার জন তদন্তকারী এবং ꧟নওয়াদার একটি পুলিশ ফাঁড়়ির মহিলা কনস্টেবল। তাঁদের ভুয়ো সিবিআই কর্মী ভেবে তাঁদের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অধিকারিকদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা করছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অমবরীশ রাহুল জানান, যখন তাদের ওপর হামলা হয় তখন দলটি কাসিয়াদিহ গ্রামে ছিল। স্থানীয় পুলিশ আসার পর কর্মকর্তাদের উদ্ধার করা হয়। গ্রামবাসীরা সিবিআই টিমের গাড়ি ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ।
অপ্রত্যাশিত আক্রমণের মুখে, সিবিআই টিম স্থানীয় পুলিশকে ডাকে, পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে দলটি তাদের তদন্ত চালায়। অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফোনে থাকা তথ্যের তদন্তের পরে, পেপার ফাঁসের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে বাতিল করা হয়েছে ইউজিসি নেট-এর জুনের পরীক্ষা। গত ১৮ জুন পরীক্ষা হয়। তারপর ১৯ জুন꧑ই সেই পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষিত হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে সন্দেহ। গোটা ঘটনাক তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে সরকার। প্রশ্নপত্র ডার্ক নেটে পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়েছে বলে সন্দেহ। এই পরিস্থিতিতে বিহারের গ্রামে সিবিআইয়ের টিম পৌঁছালে তদন্তকারী টিমে থাকা সদস্যদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার প্রবেশিকা পরীক্ষা ইউজিসি নেট আয়োজিত হয়। সদ্য চলতি সপ্তাহের বুধবার সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।