আবার বিতর্কে সিবিএসই’র নয়া পাঠক্রম। কারণ এই বোর্ডের দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নতুন পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়তে চলেছে নানা অౠংশ। আর তা নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে— সাহিত্য, ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলির পাঠ্যসূচি থেকে আগের পাঠ্যক্রমের বেশ কিছু বিষয় বাদ পড়তে চলেছে।
ঠি🐈ক কী উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়? সিবিএসই’র জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদ পড়া অংশগুলি ফাইনাল পরীক্ষায় আসবে না। এই বাদ পড়া বিষয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে— জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, শীতযুদ্ধ, মুঘল দরব𒁏ারের ইতিহাসের মতো বিষয়। এছাড়া কৃষির ওপর বিশ্বায়নের প্রভাব থেকে শুরু করে আফ্রিকায় মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রসারের মতো বিষয়গুলিও বাদের তালিকায় পড়েছে।
আর কী বাদ যাচ্ছে? এই বাদ পড়ার তালিকায় স্থান ✤পেয়েছে— রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্য এবং দশম শ্রেণির সাহিত্যে ফয়েজ আহমেদের দুটি কবিতার অনুবাদ ‘ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা ও রাজনীতি, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র’ শীর্ষক কিছু অংশ। আর দ্বাদশ শ্রেণীর প🃏াঠ্যসূচিতে ‘মোগল দরবা♛র: উপাখ্যানের মাধ্যমে ইতিহাসের পূনর্নিমাণ’ শীর্ষক চ্যাপ্টার বাদ পড়েছে।
কেন এই বিষয়গুলি বাদ পড়ছে? এই বিষয়গুলি বাদ দেওয়ার কারণ হিসাবে নির্দেশিকায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে শিক্ষকমহলের একাংশ মনে করছেন, এই বিষয়গুলি পাঠক্রমে রাখলে ছাত্রছাত্রীরা দেশের ইতিহাস এবং রাজনীতি নিয়ে সচেতন হয়ে উঠবে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকার চায় না। তাই নানা কারণ দেখিয়ে এই বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি পড়ুয়াদের সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। বোর্ড পরীক্ষাকে দুই টার্মের পরিবর্তে একটি টার্মে শেষ করার কথাও ভাবছে বোর্ড। আর বাদ পড়া বিষয়গুলির অধিকাংশই গত ১০ বছর ধরে সিবিএসই’র পাঠ্যক্🍷রমের অংশ ছিল। এই বিষয়ে বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, ‘প্রতি বছরই বোর্ডের পক্ষ থেকে পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা–সহ নানা বিষয় নিয়ে একটি বার্ষিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এটিও তারই অংশ’।