নয়া আইটি আইন নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বিভিন্ন মহল থেকেই অভিযোগ উঠেছে যে এই আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ২৬ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর থেকে বহু সোশ্যাল মিডিয়া এই আইন মানতে চায়নি। পরবর্তীতে যদিও সরকারেরไ চাপের মুখে সব সংস্থাই তা বাধ্য হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলাও গড়িয়েছে আদালꦏতে। সম্প্রতি সেরকমই একটি মামলা দয়ের হয় মাদ্রাস হাই কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার হলফনামা পেশ করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, 'নতুন আইটি আইন শুধুমাত্র বেআইনি বিষয়বস্তুকেই সোশ্যাﷺল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়♓া থেকে আটকাবে। বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা হয়নি এই আইনে।' পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে ১১৫ পাতার হলফনামায় পিটিশনগুলি বাতিল করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও বিতর্কিত পোস্ট করা হলে তা সরিয়ে ফেলতে বা বেআইনি পোস্ট করা ব্যক্তির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে এই আইন প্রয়োগ করে। এক্ষেত্রেও ব্যবহারকারী চাইলেই সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। এই আইন কোনও ভাবেই বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার ছিনিয়ে নেবে না।
উল্লেখ্য, মামলাকারী ১৩টি সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইটি আইন ২০২০ ও ২০২১ সালের আইনের মধ্যে পার্থক্য থাকায় নির্দিষ্টভাবে কোনও একটি আইন অনুসরণ করতে সমস্যার সৃষ꧃্টি ⛄হচ্ছে। পিটিশনে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দিষ্ট আইন স্থির করা উচিত। এই মামলার পরবর্তী শুসানি ১৪ সেপ্টেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাস হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি পিডি আদিকেসাভালু।