বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতের হাই কোর্টগুলিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়ামের সঙ্গে 'বিবাদে' জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে কলেজিয়াম ইস্যুতে বিগত দিনে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্যও করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তবে গতকাল, শনিবার তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, 'কলেজিয়াম ইস্যুটা আদতে মাইন্ড গেম। আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।' উল্লেখ্য, সুপ্রিম কলেজিয়ামের বহু সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পড়ে রয়েছে। সেগুলি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকী বেশ কিছু হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদের সুপারিশও অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর টেবিলে। এই আবহে তাঁর এই মন্তব্যের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। (আরও পড়ুন: কেন সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা? জানা 𝔍গেল আসল কারণ, পরবর্তী শুনানি কবে?)
উল্লেখ্য, শনিবার অরুণাচলে ৪জি নেটওয়ার্কের প্রসারের জন্য ২৫৪টি মোবাইল টাওয়ারের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিজিজু। সেখানে তিনি ব♋লেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে যে অঞ্চলে ভূখণ্ড প্রত্যন্ত, সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাপনের জন্য তা এক বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে এই অনুষ্ঠানেই রিজিজুকে কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বলেন, 'কলেজিয়াম ইস্যুটা মাইন্ড গেম। আমি এখানে এই নিয়ে কিছুই বলব না।' উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককা♛লে বারংবার কলেজিয়াম ইস্যুতে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছেন রিজিজু। তিনি এও বলেছেন যে ভারতীয় সংবিধানে এই কলেজিয়াম ব্যবস্থাটা 'অ্যালিয়েন'।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের বিদায়, ন❀েমেছে বৃষ্টি, সোমবার﷽ থেকে খুলছে স্কুল-কলেজগুলি?
সম্প্রতি আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ধা🍌রাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফ☂োঁকড় রয়েছে, তাই মানুষ এখন সরব হচ্ছেন এই বলে যে কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ্ব নয়।’ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষন কৌল ও এএস ওকার বেঞ্চ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হয়নি। সরকারের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। রিজিজুর দাবি ছিল, জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার যোগ্য। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না।
এর আগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২০১৫ সালে মোদী সরকার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। স꧅ংসদে ও ১৬ꦆটি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল।