পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অমর নাথ একেবারে তিন পাতার চিঠি লিখেছেন ওএনজিসির চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ কুমারকে। চিঠির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল মুম্বই হাইতে উৎপাদনশীলতা যথেষ্ট কমে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগীকে এবার ডাকা যেতেই পারে। ৬০ শতাংশ অংশীদারিত্ব তাদের দেওয়া যেতে পারে। তবে এপ্রিলের পর থেকে এনিয়ে দ্বিতীয়বার অমরনাথ সরকারিভাবে ওএনজিসিকে চিঠি দিলেন। কোম্পানির পারদর্শিতা যে একেবারে তলানিতে গিয়েছে সেকথাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি।২৮শে অক্টোবরের চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, মুম্বই হাই ফিল্ডের উৎপাদনশীলতা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এই ফিল্ডের বড়় সম্ভাবনা ছিল। পাশাপাশি এখানকার পরিকাঠামো নিয়েও এবার প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেকদিনের পুরানো হয়ে গিয়েছে পাইপলাইন, লিকেজও হতে পারে কিছু জায়গায়। এসবের পরিবর্তন দরকার। এর সঙ্গেই তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কোম্পানির এবার আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা দরকার। ৬০ শতাংশ অংশীদারিত্বে তারা কাজ করতে পারে। মতামত দিয়েছেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অমর নাথ।তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি লিখেছেন, ONGCর এবার এই ফিল্ডে উন্নতির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা দরকার। সেক্ষেত্রে উন্নতির নয়া দিশাও দেখিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন,ওএনজিসি এবার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের গ্য়াস ও শক্তি পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের সুযোগ করার দরজা খুলতে পারে। অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক অংশীদারকে আহ্বান করা উচিৎ ওএনজিসির। এমনটাই পরামর্শ কেন্দ্রের। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রির পর এবার ওএনজিসিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়াকে কেন্দ্র কের এবার নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।