সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার জন্য উন্মাদের মতো ছুটছে না কেন্দ্র। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা চালানো হবে। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি দাবি করেন, প্রতিরক্ষা, টেলিকম-স🐼হ চারটি বৃহত্তর ক্ষে⛎ত্রে সরকারের মালিকাধীন পেশাদারি সংস্থার উপস্থিতি থাকবে।
শনিবার 'রাইসিনা ডায়লগ'-এ 🐼কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত নীতি অনুযায়ী চার বৃহত্তর ক্ষেত্রে সরকারের মালিকাধীন পেশাদারি সংস্থা থাকবে। অর্থাৎ ওই ক্ষেত্রগুলিতে সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। ওই চারটি ক্ষেত্র হল - পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা; পরিবহণ ও টেলিযোগাযোগ; শক্তি, পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও অন্যান্য 🅠খনিজ সম্পদ এবং ব্যাঙ্কিং, বিমা ও আর্থিক পরিষেবা।
সীতারামন বলেন, '(রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত নীতি মোটেও এমন নয় যে সরকার)ℱ উন্মাদের মতো সবকিছু বিক্রি করতে ছুটে যাচ্ছে। সেই নীতিতে এটাও বলা হয়নি যে পিন তৈরি থেকে শস্য- সব ব্যবসা চালাবে সরকার। তাই যে ক্ষেত্রে সরকারের (ব্যবসা চালানোর) প্রয়োজন নেই, সেখানে চালাবে না। কিন্তু কৌশলগত স্বার্থে যেখানে সরকারকে (রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা) চালাতে হবে, সেখানে চালাতে হবে। যেমন টেলিকমের ক্ষেত্রে (সরকার ব্যবসা চালিয়ে যাবে)।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘একটি টেলিকম সংস্থা (বিএসএনএল যেমন আছে) থাকবে, যে সংস্থার মালিক হবে সরকার এবং সেই সংস্থাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে চালানো হবে।’
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, যে প্রতিষ্ঠানগুলি বড় এবং নিজেদের ক্ষমতায় চলতে পারবে, সেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি চলতে থাকবে। কিন্তু যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ছোটো, অলাভজনক এবং আখেরে কোনও লাভের মুখ দেখাচ্ছে না, সেগুলিকে সম্ভব হলে বড় প্র♓তিষ্ঠানের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। যাতে ওই সংস্থাগুলি নিজেদের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এবং নিজের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: PSU Disinvestment: একে একে বিক্রি বা বন্ধ করা হবে ৬০টি স🌜রকারি সংস্থা! তৈরি হচ্🗹ছে তালিকা
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাজেꦰটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারের শেয়ার বেচে ৫১,০০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যা চলতি অর্থবর্ষের থেকে সামান্য বেশি। গতবারের বাজেটে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বাজার থেকে ৬৫,০০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। যা পরে সংশোধন করে ৫০,০০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। একাধিক সূত্রের খবর, আপাতত আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, এনএমডিসি স্টিল, বিইএমএল, এইচএলএল লাইফকেয়ার, কন্টেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ভাইজাগ স্টিলের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের চেষ্টা করছে সরকার।