পেনশন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্ট পৃথক করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের চাকরিজীবন শেষে যাতে কর্মীরা বেশি পেনশন পান, সেজন্য সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে দুটি অ্যাকাউন্ট পৃথক করে দেওয়া হলে প্রভাব পড়বে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে (ইপিএফও)। যে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক হলেন সংগঠিত ক্ষেত্রের ছ'কোটি কর্মী। সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে শ্রমবিধি আওতায় পেনশন সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে সেই পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতে, গ্রাহকদের যদি পৃথক পেনশন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য পেনশনের খাতে জমানো টাকায় হাত পড়বে না। বর্তমানে অবশ্য পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় গ্রাহকদের পেনশন খাতেও কোপ পড়ে। কারণ দুটিই একটি অ্যাকাউন্টের অন্তর্গত আছে। যে সমস্যা করোনাভাইরাস মহামারীর সময় মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। চাকরি হারিয়ে ফেলে অনেকেই নিজেদের পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে শুরু করেছিলেন। সেই সময় অগ্রিম বাবদ কেন্দ্র টাকা তোলার যে সুবিধা দিয়েছিল, তার জন্য ৭০.৬৩ লাখ মানুষ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছিলেন। গত বছর মার্চে 'প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার' আওতায় ইপিএফ উপভোক্তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, প্রায় ছয় কোটি গ্রাহক তাদের তিন মাসের বেসিক পে ও ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্সের (ডিএ) টাকা তুলতে পারবেন। অথবা তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে যত টাকা আছে, তার ৭৫ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন। এই দুটির মধ্যে যেটি কম, সেটাই নিতে পারবেন ইপিএফ সদস্যরা।কর্মীদের কত টাকা পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে?আপাতত প্রভিডেন্ট অ্যাকাউন্টে কর্মী এবং নিয়োগকারী মিলিয়ে ২৪ শতাংশ অর্থ জমা পড়ে। তার মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ অর্থ যায় এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে (ইপিএস)। বাকি জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। এক ইপিএফও সদস্যর বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ কর্মী চান যে অবসরের পর পেনশন বাবদ তাঁদের আয় যেন বেশি হয়। সেই পরিস্থিতিতে পেনশন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্ট পৃথক করলে লাভবান হবেন কর্মীরা।