শিশুদের করোনাভাইরাস চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ১৮-এর কমবয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণে সংক্রান্ত𒉰 বিস্তারিত নির্দেশিকায় এমনই পরামর্শ দিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, ‘১৮ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য নেই।'
কেন্দ্র জানিয়েছে, উপসর্গহীন ও স্বল্প উপসর্গের করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে হাসপꦇাতালে ভরতি থাকা যে করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ বা গুরুতর খারাপ, তাঁদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও রোগীকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কীভাবে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে, তাও কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলফ সার্ভিসেসের (ডিজিএইচএস) পরামর্শ, ‘সঠিক সময়, সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়কালে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ছাড়তে হবে নিজে থেকেই স্টেরয়েড নেওয়ার প্রবণতা।’
আপাতত অনেকক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এইচআরসিটি স্ক্যান (চলতি কথায় সিটি স্ক্যানের) করা হচ্ছে। তবে যথেচ্ছভাবে সিটি স্ক্যান না করানোর পরামর্শ দিয়েছে ডিজিএইচএস। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘বুকের এইচআরসিটি স্ক্যান থেকে যে বাড়তি তথ্য পাওয়া যায়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেই তথ্যের প্রভাব সাধারণত কম থাকে।’ সেজন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই চিকিৎসকদের সিটি স্ক্যান করতে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সকলকে সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়া যাবে না। যেসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রয়োজন হবে, সেক্ষেত্রেই সিটি স্ক্যানের ඣপরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, 'তাই করোনജাভাইরাস রোগীর বুকের এইচআরসিটি ইমেজিংয়ের (সিটি স্ক্যান) চিকিৎসকদের আরও বেশি করে বাছাই করতে হবে।'