বাজ পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই দুর্ঘটনা এখন দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড় রাজ্যে। যা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টি চলাকালীন বাজ পড়ছে। আর তাতেইꦦ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছেন মানুষজন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গত দু’দিন মোট পাঁচজন মানুষ এভাবেই মারা গিয়েছেন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের সঙ্গে শোকের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। এই ঘটনা আর ঘটবে কিনা তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে দু’দিনে যে পাঁচজন মারা গিয়েছেন তার মধ্যে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান।
এদিকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে দান্তেওয়াড়া বাসোর অঞ্চলে সিআরপিএফ জওয়ানরা প্রশিক্ষণের জন্য যাচ্ছিলেন। শুক্রবার দুꦜপুর ৩টে নাগাদ তাঁরা প্রশিক্ষণ শিবিরে যাচ্ছিলেন। আর তখনই মারাত✱্মক বাজ পড়ে। বজ্রবিদ্যুৎ–সহ সেই বাজ পড়ে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান মারা যান। তবে সাধারণ মানুষও দু’জন এই বাজের জেরে মারা গিয়েছেন। ফলে মোট পাঁচজন দু’দিনে বাজ পড়ে মারা যান। এই ঘটনা এখন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। যার জেরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলেই মানুষজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। আবার অনেকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদ সহানুভূতি–মানবতার সঙ্গে করা উচিত’, অবহেলায় যুবকের মৃত্যুতে পরামর্শ অভিষেকের
অন্যদিকে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ানের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গিয়েছে। ওই জওয়ানদের নাম—মহেন্দ্র কুমার এবং এস সাহুয়াত আলম। আর একজনের নাম জানা যায়নি। বজ্রপাতের জেরে এই দুই জওয়ান রীতিমতো ঝলসে যায়। আর তার জেরেই এই দু’জনের মৃত্যু হয়। আর একজন জওয়ান আশঙ্কাজনক 𝔍হয়ে পড়লেও পরে মারা যান। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এদের তিনজনকেই আহত অবস্থায় ৩০ কিমি দূরে দান্তেওয়াড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই তিনজন মারা যান বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই তিনজন জওয়ানের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবারও একইরকম ঘটনা ঘটেছে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় একজন সিআরপিএফ জওয়ান বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। তার সঙ্গে দু’জন সাধারণ মানুষও এই একই কারণে মারা গিয়েছেন। ক্রমশ এই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এখানে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজ পড়ে মারা যাওয়ার খবর আসতেই থাকছে এবং তা নিয়ে আতঙ্কের বাতাবর♒ণ তৈরি হয়েছে। রাউনি গ্রামের সরপঞ্চ রামব্রিশ রাম ও তাঁর স্ত্রী জঙ্গলের পথে ব্রজপাতে মারা গিয়েছেন। ব্যবসায়ী অজয় কুমার পথে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। আর তখনই বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ডুমাকোণা এলাকায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।