করোনা সংক্রমণের কারণে রথ যাত্রা আয়োজনের উপরে জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত জনা💫র্দন পত্তযোশী মহাপাত্র। শুক্রবার তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রত্যাহ💮ারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা দেন।
মহাপাত্রের যুক্তি, জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাসে কখনও রথ যাত্রা আয়োজনে ব🃏িঘ্💃ন সৃষ্টি হয়নি। পরিস্থিতি যেমনই হোক প্রতি বছর এই উৎসব পালন করতে হয় মন্দিরের সেবাইতদের। কোনও কারণে রীতিতে ছেদ পড়লে তা মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করে বলে দাবি প্রধান সেবাইতের।
তাঁর আর্জি, একেবারে বন্ধ না করে জনসাধারণের উপস্থিতি ছাড়া আগামী 𝕴২৩ জুন রথ যা🦂ত্রা ও তার সঙ্গে যুক্ত রীতিনীতি পালন করার অনুমোদন দেওয়া হোক মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
আবেদনে মহাপাত্র প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘যদি রথ যাত্রার দিন কারফিউ জারি করে আর্থ মুভার্সের সাহায্যে জগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত রথটেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে এক ঘণ্টারও কম সময়ে এই ২.৮ কিমি পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব। জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য উৎসব পুর𝓀োপুরি বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই।’
পুরীর বাসিন্দা এবং পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিভি-তে রথ🐼 যাত্রার সরাসরি সম্প্রচারের আর্জিও জানিয়েছেন মহাপাত্র। এ ছাড়া ১৯১৮ সালের স্প্যা🥃নিশ ফ্লু অতিমারীর সময়ও পুরীর রথ যাত্রা উৎসব পালিত হয়েছিল বলেও আদালতকে জানিয়েছেন প্রধান সেবাইত।
করোনা সং🌱ক্রমণের কারণে বিপুল ভক্ত ও পর্যটক সমাবেশে অতিমারী বৃদ্ধির আশঙ্কায় এ বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দির-সহ ওড়িশার সমস্ত মন্দিরে রথ যাত্রা উৎসবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতে তার আগে রথ যাত্রা বন্ধ করার আবেদন জানায় ওড়িশা বিকাশ পরিষদ নামে এক এনজিও। আবেদনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ এবং তার জেরে দেশে কোভিড সংক্রমণের উল্লেখজনক বৃদ্ধির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছিল।