বিগত কয়েক বছর ধরেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত এবং চিনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। ২০২০ সালে গালওয়ানে সংঘর্ষের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করেছিল চিন। প্যংগঙে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধাও দিয়েছে চিন। সেই প্যাংগঙেই নাকি সেতু তৈরি করে গাড়ি চলাচল করছে চিনা সেনা। তবে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যে ফের এক দফায় কূটনৈতিক বৈঠক হল সম্প্রতি। সেই বৈঠকেই ভারত ও চিন উভয় দেশই শান্তি প্রক্রিয়াকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছে। যদিও শান্তি অর্জনের পক্ষে ইতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত এই বৈঠকেও নেওয়া সম্ভব হয়নি। (আরও পড়ুন: বাড়ল LPG🌃-র দাম, ঘনিয়ে আসছে সরকারি কর্মীদের 'ডেডলাইন', যা যা বদলাচ্ছে অগস্টে...)
আরও পড়ুন: 'কমলা কি ভা🅠🦋রতীয়…', প্রতিপক্ষের জাতিগত সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের, এল জবাবও
এর আগে গত মাসে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংর দু'বার বৈঠকে বসেছিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই- র সঙ্গে। এরপরই দুই দেশ এই কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে বসে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে লাদাখ সীমান্তে একাধিকবার ভারত ও চিনের কমান্ডর পর্যায়ে সামরিক বৈঠক হয়েছিল। তবে ততেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই কূটনৈতিক বৈঠকেও ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। তবে দুই দেশই এই সাম্প্রতিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্রুত সমাধান সূত্র বের করতে হবে। (আরও পড়ুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিম🦩াচলে মৃত বহু, ধসে একাধিক মৃত্যু উত🍰্তরাখণ্ডেও, আটকে ২০০)
আরও পড়ুন: SC, ST-র সাব-ক্লাসিফিকেশন করতে পারে রাজ্য, বড় রায় সুপ্রি🌊ম কোর্টের
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে প্যাংগং এলাকায় ক্রমেই গতিবিধি বাড়ছে চিনের। স্থিতাবস্থা ফেরানো তো দূর, প্যাংগঙের কাছে দীর্ঘ সময়ের জন্যে ঘাঁটি গেড়ে বসছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুবই কাছে আন্ডাগ্রাউন্ড বাঙ্কার তৈরি করে সেখানে জ্বালানি এবং বিস্ফোরক মজুত রেখেছে চিন। প্যাংগঙের উত্তর তীরে অবস্থিত এই ঘাঁটিতে স্থানীয় হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করছে পিএলএ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে এই সামরিক ঘাঁটি মাত্র ৫ কিলোমিটার। রিপোর্ট অনুযায়ী, সারজাপে এই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল ২০২১ সাল নাগাদ। স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, এই ঘাঁটির বড় আন্ডাগ্রাউন্ড বাঙ্কারের প্রবেশের জন্যে আটটি পথ রয়েছে। এছাড়াও আরও একটি ছোট বাঙ্কার রয়েছে এই ঘাঁটিতে। সেটিতে প্রবেশ করার জন্যে রয়েছে ৫টি পথ। এছাড়াও এই ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি বড়বড় ভবনও রয়েছে। বেশ কিছু ছাউনি রয়েছে। (আরও পড়ুন: ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর স্মৃতি ম্লান হতে না হতে এবার গাজীপুরে বৃষ্টির🥀 বলি মা-ছেলে)
আরও পড়ুন: বৃহস্পত♉িতে লক্ষ্মীর কৃপা শেয়ার বাজারে, ২৫০০০ ছুঁল নিফটি, ৮২০০০ পার সেনসেক্স
এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্যাংগং সো লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের মধ্যে একটি ব্রিজ চালু করেছে চিন। মার্কিন সংস্থা ব্ল্যাকস্কাইয়ের স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে চিনের এই ব্রিজ। ব্রিজটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণর🔥েখা থেকে মোটামুটি ২৫ কিলোমিটার দূরে আকসাই চিন এলাকায় অবস্থিত। ২০২২ সালের গোড়ার দিকে প্রথম এই ব্রিজ নির্মাণের খবর সামনে এসেছিল। তখন তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। চবে চিন সেই সেতু নির্মাণ সম্♋পন্ন করেছে। উল্লেখ্য, আকসাই চিনের যেখানে এই সুতে তৈরি করা হয়েছে, সেই জায়গাটি বরাবরই নিজেদের এলাকা বলে জানিয়েছে ভারত। এদিকে চিন ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকা দখল করে বসে আছে।