প্যাংগং সো লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের মধ্যে একটি ব্রিজ চালু করে ফেলল চিন। যে ব্রিজের কা🃏রণে সৈন্য এবং সরঞ্জাম পাঠানোর সময় একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিন যে সেই ব্রিজটা তৈরি করে ফেলেছে, তা মার্কিন সংস্থা ব্ল্যাকস্কাইয়ের স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে। গত ৯ জুলাই সকাল, দুপুর এবং বিকেল-সন্ধ্যার দিকে ওই সংস্থার তোলা উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে যে ওই ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই ব্রিজ দিয়ে রীতিমতো গাড়ি চলাচল করার বিষয়টিও উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে। যে ব্রিজটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে মোটামুটি ২৫ কিল🉐োমিটার দূরে আকসাই চিন এলাকায় অবস্থিত। যে জায়গাটি বরাবরই নিজেদের এলাকা বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছে ভারত। কিন্তু ১৯৬০ সাল সেই এলাকা দখল করে আছে।
প্রায় ৪০০ মিটারের লম্বা ব্রিজ
২০২২ সালের গোড়ার দিকেই যখন প্রায় ৪০০ মিটারের ওই ব্রিজটি নির্মাণের খবর সামনে এসেছিল, তখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ♔স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল যে ♌নিজেদের ভূখণ্ডে এরকম বেআইনি হস্তক্ষেপ কখনও মেনে নেবে না দিল্লি। সেইসময়ের একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, ২০২০ সালে লাদাখ সেক্টরে ভারত এবং চিনের সংঘাতের দু'বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সেই ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। আর এবার মার্কিন সংস্থার উপগ্রহচিত্রে যা ধরা পড়েছে, তাতে কিছুটা হলেও চিন্তা বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের।
রাস্তায় গাড়ি, ব্রিজ পেরোচ্ছে গাড়ি
ওই মার্কিন সংস্থার তরফে যে 'অটোমেটেড ভেহিকেল ডিটেকশন' ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে ব্রিজের দু'দিকের রাস্তায় একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। একটি গাড়িকে ওই ব্রিজ পার করতে দেখা গিয়েছে💧। দিনভর গাড়ি চলাচল, গাড়ির অবস্থান ಌপরিবর্তনের বিষয়টিও ধরা পড়েছে উপগ্রহচিত্রে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভারতের এয়ার স্ট্রাইক বা কামান হামলার 'টার্গেট' হয়ে উঠবে সেই ব্রিজ। তবে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন যে ওই ব্রিজের কারণে সৈন্য বা সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে একাধিক অ্যাডভান্টেজ পাবে চিনা সেনা। দুটি সেক্টরে চিনা সেনার দুটি ছাউনির মধ্যে♉ যাতায়াতের সময় একধাক্কায় কমে যাচ্ছে। আগে যে পথটা অতিক্রম করতে ১২ ঘণ্টা লাগত, এখন সেটা চার ঘণ্টায় হয়ে যাবে।
কী সুবিধা হবে?
লাদাখ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) মনমোহন বাহাদুর জানিয়েছেন, চিনাদের অবস্থানের ক্ষেত্রে ওই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। ২০২০ সালে ভারতীয় সেনা প্যাংগং সো লেকের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিজেদের হাতে নিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে চিন এই ব্রিজ তৈরি করেছে বলে মনে করছ𒈔েন তিনি। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারত সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করাജ হয়নি।