আর পাঁচজন যেভাবে তাজমহলে বেড়াতে যান সেভাবেই বাংলা থেকেও এক পর্যটক গিয়েছিলেন আগ্রাতে। আর আগ্রাতে যাওয়া মানেই তো তাজমহল। তাজমহলে গিয়েছিলেন ওই বাঙালি পর্যটক। সূত্রের খবর ১৬ নভেম্বর নমাজ পড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কার্যত নিয়ম ভাঙেন তিনি।ওই বাঙালি পর্যটক তাজমহলে গিয়েছিলেন। এরপর বাঙালি পর্যটক তাজমহলে নমাজ পড়ার জন্য় তোড়জোড় শুরু করে দেন। বিষয়টি দেখতে পেয়েই ছুটে যান কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান। তিনি দ্রুত তাঁকে জানিয়ে দেন এখানে এভাবে নমাজ পড়া যায় না। এরপর তাঁকে তিনি অফিস রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।তবে সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি দ্রুত তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। তিনি জানিয়ে দেন, তাজমহলে নমাজ পড়ার ক্ষেত্রে যে বিধি নিষেধ রয়েছে সেটা তিনি জানতেন না। এরপর তিনি ক্ষমা চান। তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর আগ্রাতে বেড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও বাঁধা নেই। আসলে তিনি নিয়মের বিষয়টি জানতেন না। সেকারণেই তিনি মাঠে নমাজ পড়ার জন্য ম্যাট বিছিয়ে ফেলেছিলেন। তবে পরে সিআইএসএফের কাছ থেকে নিয়মের বিষয়টি জেনে তিনি দ্রুত ক্ষমা চান। আসলে তাঁর অন্য কোনও অভিপ্রায় ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এবারই প্রথম নয়। অতীতের পরিসংখ্যান ও মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ২৬ মে ২০২২ সালেও তিনজন তাজমহলে নমাজ পরার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে নমাজ পরার ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। এই সৌধকে সংরক্ষণের উপরেই জোর দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।তবে নমাজ পড়ার ক্ষেত্রে এই যে বিধিনিষেধ রয়েছে তাজমহলে সেটা ঠিক জানতেন না ওই বাঙালি পর্যটক। অন্যদিকে অপর এক পর্যটক গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এরপরই এনিয়ে নানা কথা শুরু হয়ে যায়। তবে পরে আসল বিষয়টি জানা যায়। তবে লিখিত ক্ষমা চাওয়ার পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।